১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৩:০৯
শিরোনাম:

খালেদা জিয়ার কিছু হলে হুকুমের আসামি হবেন আইনমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী: ডা. জাফরুল্লাহ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়া কতক্ষণ, কয়দিন বাচঁবেন সেটা আমি বলতে পারবো না। তবে এটা বলতে পারি, উনার অবস্থা অত্যন্ত ক্লান্তিকাল। আজকে উনাকে হত্যা করা হচ্ছে। এ হত্যার জন্য, আমাদের আইনমন্ত্রী হুকুমের ও প্রধানমন্ত্রীও হুকুমের আসামী হবেন।

বুধবার রাজধানীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, খালেদা জিয়া অত্যন্ত কঠিন অবস্থায় আছেন। যে কোনো মুহুর্তে চলে যেতে পারেন। যে কোনো দিন চলে যেতে পারেন। কখন যাবেন এটা আমি জানি না কিন্তু তার অবস্থা অত্যান্ত ক্রিটিক্যাল। আমার কাছে আশ্চর্য্য লাগছে বিএনপি এতোদিন এ কথাটা জানায় নাই। হয়তো উনারা জানতেন না। উনাদের ছয়জন চিকিৎসক, আমাকে বিস্তারিত বলেছে, আমি তাদের ফাইলের প্রত্যেকটা লেখা পরে দেখেছি।

তিনি বলেন, আমাদের শরীরে দুটি বিশেষ রক্ত নালী আছে। উনার মুখ দিয়ে রক্তপাত হচ্ছে, পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্তপাত হচ্ছে। ব্লাড প্রেসার নামতে নামতে একশ’র নিচে নেমে গেছে। সম্ভব হলে আজকে রাতেই উনার ফ্লাই করা উচিত। তা না হলে এজন্য যে কোনো কিছু ঘটে যেতে পারে।

এখানে সরকার অমানবিক তো বটেই। আমি কিভাবে এর বর্ণনা দেবো। আজিজের ভাই খুনের আসামীকে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে ছিলেন। রাষ্ট্রপতি কি মানবিক না। উনার নিজেরেও তো দায়িত্ব আছে। উনি তো দেখতে যেতে পারতেন।

এরআগে গতকাল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

খালেদা জিয়াকে দেখতে তার সঙ্গে ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সদস্য অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।