২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:৪২
শিরোনাম:

সরকারের ইচ্ছে নেই খালেদা জিয়া বেঁচে থাকুক : ফখরুল

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের জন্য যে অবদান তা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আর বলেন, ‘সেই নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় সাজা দিয়ে তিন বছর তাকে কোনো চিকিৎসা না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে।’

আজ বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা বলছেন, তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা খুবই প্রয়োজন। কিন্তু সরকার সেই চিকিৎসা থেকে তাকে বঞ্চিত করছে। বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিতে আইনে কোনো বাধা নেই। এ মুহূর্তে সরকার তাকে বিদেশে পাঠাতে পারে-এটা সরকারের এখতিয়ার। এজন্য সমোস্ত দায় সরকারের।’

শুধুমাত্র দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস, বিরাজনীতিকরণের উদ্দেশ্যেই খালেদা জিয়াকে সরকার বিদেশে চিকিৎসা সুযোগ দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ বিশ্বাস করে সরকার ইচ্ছে নেই খালেদা জিয়া বেঁচে থাকুক। এ কারণেই তাকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘একটা ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে সীমিত পরিসরের মধ্যে গণতান্ত্রিকভাবে যত আন্দোলন করা প্রয়োজন আমরা শুরু করেছি। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করব এবং একই সঙ্গে গণতন্ত্রকেও আমরা মুক্ত করব।’

৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আট দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগামী ৩০ নভেম্বর বিভাগীয় সদরে বিএনপি সমাবেশ করবে। এ ছাড়া ২৫ নভেম্বর যুবদল, ২৮ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক দল, ১ ডিসেম্বর ছাত্রদল, ৩ ডিসেম্বর কৃষক দল সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। মুক্তিযোদ্ধা দল ২ ডিসেম্বর সারা দেশে মানববন্ধন করবে। ৪ ডিসেম্বর মহিলা দল সারা দেশে মৌন মিছিল করবে। খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে ২৬ নভেম্বর শুক্রবার বাদ জুমা মসজিদে মসজিদে দোয়া এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপশানালয়ে প্রার্থনা করা হবে। তিনি জানান, আপাতত এ হচ্ছে কর্মসূচি। তবে, এটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য কী রকম থাকে তার ওপর। প্রয়োজনে এসব কর্মসূচি পরিবর্তনও হতে পারে।

যৌথসভায় অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, মনির হোসেনসহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরা।