১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:০৯
শিরোনাম:

পারিবারিক সিদ্ধান্তে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ ছাড়ছেন আকরাম

চারপাশে নানা সমালোচনা। জাতীয় দলের খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সতীর্থ পরিচালকরাও গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় সমালোচনা করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে একই পদে থাকায় তার জায়গা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। জাতীয় দল বর্তমানে যে কঠিন সময় পার করছে সেই দায়ও পরোক্ষভাবে যাচ্ছে তার কাঁধেও।

সেই বোঝা নিয়েই কি ক্রিকেট পরিচালনা পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন বিসিবি পরিচালক আকরাম খান? সরাসরি জানার চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোনে যোগাযোগ করা যায়নি তার সঙ্গে। তবে জানা গেছে, পারিবারিক সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ এই পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আকরাম।

২০১৪ সালে নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বে নির্বাচিত কমিটিতে প্রথমবার ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এক বছর যেতে না যেতেই তার জায়গায় দায়িত্ব পান নাঈমুর রহমান দুর্জয়। কিন্তু মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো এক বছর পর আবার ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আকরাম।

সেই থেকে টানা ৬ বছর দায়িত্ব চালিয়ে গেছেন তিনি। দলের সাফল্য-ব্যর্থতা সবটাই দেখা হয়েছে তার সময়ে। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, স্টিভ রোডস, রাসেল ডমিঙ্গোসহ সবগুলো কোচের সঙ্গেই কাজ করা হয়েছে তার। দায়িত্ব পালনকালে বেশ কিছু বিতর্কিত ঘটনাও ঘটেছে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার অবসর কাণ্ড, সাকিবের টেস্ট থেকে ছুটি নেওয়া, অস্ট্রেলিয়া সিরিজে মুশফিককে না পাওয়াসহ ছোটখাটো অনেক ঘটনাই আছে।

খালেদ মাহমুদ সুজন মিরপুরে একদিন বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় আকরাম ভাইয়ের সঙ্গে খেলোয়াড়দের সেভাবে দেখাও হয় না। কারণ আকরাম ভাই যে বোর্ডে কখন আসছেন, সব সময় যে আসেন, তাও কিন্তু নয়। আমি মাঠের লোক, মাঠে থাকি, বোর্ডে যাই। সবার সঙ্গে দেখা হয়, কথা হয়। আকরাম ভাই হয়তো ব্যস্ত থাকেন, উনার ব্যবসা আছে। কিন্তু হয়তো খেলোয়াড়দের সঙ্গে ওই সময় তার দেখা হয় না। আমার সঙ্গে যেভাবে মন খুলে কথা বলতে পারে, সেটা হয়তো আকরাম ভাইয়ের সঙ্গে পারে না। ওই সম্পর্কটা গড়ে ওঠে না। যে কোনো টপিক নিয়ে আমাকে বলতে পারে, ওই সময় আকরাম ভাইকে তো তারা পায় না।’

সাকিব আল হাসান শ্রীলঙ্কা সফর থেকে ছুটি নিয়ে আইপিএল খেলতে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আকরাম ভাই বারবার বলেছেন, আমি খেলতে চাই না। আমার ধারণা উনি চিঠিটি পড়েননি। ওই চিঠিতে আমি কোথাও বলিনি যে টেস্ট খেলতে চাই না। আমি সেখানে এটা পরিষ্কার করে দিয়েছি, আমার আইপিএল খেলার কারণ আসলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দল খালেদ মাহমুদ সুজনের অধীনে সাকিব অনুশীলন করলেও আকরাম কিছুই জানতেন না। তার দেশে পৌঁছানোর আগেই পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো হয়ে যায়। নতুন করে অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকাতেই ছিলেন না আকরাম। সব মিলিয়ে কিছুটা চাপেই ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।