২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:৪৮
শিরোনাম:

মোহাম্মদ আশরাফুল দেশদ্রোহী : প্রধান নির্বাচক

যমুনা টিভিতে সম্প্রচারিত হওয়া স্পোর্টস লাইভ নামক অনুষ্ঠানে নির্বাচক প্যানেলের মেয়াদ সম্পর্কিত এক আলোচনায় বিসিবির প্রধান নির্বাচ মিনহাজুল আবেদিন নান্নু মোহাম্মদ আশরাফুলকে কেন্দ্র করে বলেন, যেসব খেলোয়াড় দেশদ্রোহী হয়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে সাস্পেন্ড হয়, তাদের কাছ থেকে ভালো কোনো পরামর্শ আশা করা যায় না।

দীর্ঘ মেয়াদী নির্বাচক প্যানেল দিয়ে ক্রিকেটে সুফল ফেরানো সম্ভব নয় বলে মত দিয়েছেন ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল। তিনি বলেছেন, নির্বাচক প্যানেলে যারা আছেন তাদের প্রতিভার সুফল কিন্তু ৩-৪ বছরেই আমরা পেয়ে যাবো। কিন্তু একই ব্যক্তি যদি একই কাজ ১১ বছর ধরে করতে থাকেন তবে আমরা এক জায়গাতেই আটকে যাবো। নির্বাচক প্যানেলের মেয়াদ তাই ৩-৪ বছর হওয়া উচিত।

এক বিশ্বকাপ থেকে আরেক বিশ্বকাপ পর্যন্ত যদি হয় প্যানেলের মেয়াদ তবে ভিন্ন চিন্তা ও ভিন্ন ধারণা আসার সুযোগ পাবে। এই ব্যাপারে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও প্রধান নির্বাচকের পদে থেকে যাওয়া মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, নির্বাচক প্যানেলের মেয়াদ কতদিন থাকা উচিত।

প্রশ্নটির জবাবে নান্নু বেশ কড়া ভাষায় বলেন, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক কতদিন দায়িত্বে ছিলেন সে সম্পর্কে বোধহয় আশরাফুলের কোনো ধারণা নেই। উনি প্রায় ৯ থেকে ১২ বছর একনাগাড়ে কাজ করেছেন। তাতে কি অস্ট্রেলিয়া অনেক পিছিয়ে গেছে? সেখানে আশরাফুল শুধু বলছে বিশ্বকাপ থেকে বিশ্বকাপ পর্যন্ত থাকবে নির্বাচকরা।

তাহলে বাংলাদেশ কি শুধু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে নাকি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলবে? নাকি টেস্ট ক্রিকেট খেলবে? তাহলে কি টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে এবং টেস্টের জন্য আলাদা নির্বাচক থাকবে? ওর তো কোনো গোছানো কথা নেই। যে ক্রিকেটার দেশদ্রোহী হয়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে সাস্পেন্ড হয়, তাদের কাছ থেকে ভালো কোনো পরামর্শ আশা করা যায় না। – যমুনাটিভি