২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ভোর ৫:৫৪
শিরোনাম:

‘উনারা না বুঝেই নাচ-গান শুরু করে দিয়েছেন’

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত খসড়া আইন জাতীয় সংসদে বিল আকারে উত্থাপনকালে আইনমন্ত্রী বলেছেন, প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদান স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হবে, গণতন্ত্র সুসংহত ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে এবং জনস্বার্থ সমুন্নত হবে মর্মে আশা করা যায়।

রোববার সংসদে বিলটি উঠানোর জন্য আইনমন্ত্রী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমতি চাইলে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ খসড়া আইনটিকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে এর বিরোধিতা করেন।

হারুনের বক্তব্যের পাল্টা জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, উনারা এই আইন না পড়েই মন্তব্য করছেন। উনারা মনে করেছিলেন এই আইনটি একটি পলিটিক্যাল ইস্যু। আইনটি নিয়ে উনারা এখন বলেন এইটা নাই, ওইটা আছে; এসব নাচ-গান শুরু করে দিয়েছেন।

বিল উত্থাপনের পক্ষে অধিকাংশ সদস্য কণ্ঠভোট দিলে তাতে অনুমতি দেন স্পিকার। পরে আইন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটিতে বিলটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সাত দিনের মধ্যে স্থায়ী কমিটি এ সংক্রান্ত রিপোর্ট দেবে।

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগের জন্য বিলটি আনা হচ্ছে। কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই রাষ্ট্রপতিকে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে।