১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:১৫
শিরোনাম:

করোনা টেস্ট করতে গিয়ে ১৮ বছর পর অধ্যক্ষ হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম নগরীতে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে দীর্ঘ্য ১৮ বছর যাবৎ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশে, বিদেশে পলাতক ছিল চট্টগ্রামের নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ “গোপাল কৃষ্ণ মহুরী” হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মহি উদ্দিন। অবশেষে র‌্যাবের হাতে আটক।

রোববার (২৩ জানুয়ারি) র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, তাকে দুবাই পালিয়ে যাওয়ার জন্য শনিবার ২২ জানুয়ারি করোনা টেষ্ট এর জন্য বের হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর সুগন্ধা আবাসিক এলাকায় অবস্থান করাকালীন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১ নভেম্বর সকালে কোতোয়ালী থানাধীন জামালখান এলাকায় চট্টগ্রাম নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী তার বাসায় চট্টগ্রামের কুখ্যাত সন্ত্রাসী নাসির গ্রুপের ক্যাডাররা তাকে গুলি করে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের পর ১২ জনকে আসামি করে চট্টগ্রাম জেলার কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী বিজ্ঞ দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল মোট ১২ জন আসামির মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মহিউদ্দিন সহ ৪ জন আসামির ফাঁসির আদেশ হয় এবং ৪ জন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামিরা মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে আপিল করলে মহামান্য আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। অপর ৪ জন আসামি বিচার চলাকালীন সময়ে মারা যায়। দণ্ডিত ৮ আসামির মধ্যে ৬ আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছে। অন্য ২ জনের মধ্যে ১ আসামি ইউরোপে এবং অপর ১ জন আসামি দুবাই পলাতক ছিল। পলাতক আসামি মহি উদ্দিন মহিন উদ্দিনকে বিজ্ঞ আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। রায় ঘোষণার সময় মহি উদ্দিন দুবাইয়ে পলাতক ছিল। গত ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর মহি উদ্দিন দুবাই হতে বাংলাদেশে এসে সুকৌশলে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকে।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম পলাতক আসামি মহি উদ্দিন বাংলাদেশে আসার সংবাদ সংগ্রহ করে। আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য নজরদারির অব্যাহত রেখে প্রযুক্তির ব্যবহার করে পুনরায় দুবাই পাড়ি জমানোর পরিকল্পনারত মহি উদ্দিন ওরফে মহিন উদ্দিন (৪৬) কে আটক করে। তার পিতার নাম এলাহী বক্স। তিনি হাটহাজারী থানার মান্দাকিনি এলাকার বাসিন্দা।

এছাড়া, আসামি মহি উদ্দিন চট্টগ্রামের একসময়ের ত্রাস সৃষ্টিকারী, খুনী, কুখ্যাত নাসির গ্রুপ এর সক্রিয় সদস্য এবং নাসির এর আপন ছোট ভাই। নাসির বর্তমানে জেল হাজতে আটক আছে। আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।