১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:৪৫
শিরোনাম:

সৌদিতে বাংলাদেশি যুবককে গলা কেটে হত্যা

সৌদি আরবে বশির আহমদ (২৪) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গত রোববার (২৩ জানুয়ারি) রাতে সৌদি আরবের আল কাসিম শহরের বুরাইদা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বশির আহমদ কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার তুলাতলী গ্রামের মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।নিহত বশিরের বড় ভাই সৌদিপ্রবাসী মোজাম্মেল হক বলেন, করোনার টিকা দেওয়ার কথা বলে তার পাকিস্তানি কিছু সহকর্মী তাকে ডেকে নিয়ে যায়। তারা বাসায় ফিরলেও আমার ভাই ফিরে আসেনি। তাদের জিজ্ঞেস করলে একেকজন একেক উত্তর দিতে থাকে। বশিরের মুঠোফোনও বন্ধ ছিল। কোথাও খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে স্থানীয় পুলিশকে জানানো হয়।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে পুলিশ দুই পাকিস্তানি ও এক বাঙালি যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে তারা গলা কেটে হত্যা করার বিষয়টি নিশ্চিত করে। আমি এ ঘটনা সুষ্ঠু বিচার চাই। ধারণা করা হচ্ছে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত বশিরের সহকর্মী সামির আলম বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িতরা আমাদের কোম্পানির একটি ক্যাম্পে থাকতো। পাশাপাশি বিকাশের ব্যবসা করত। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বশিরকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় নিহত বশিরের গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খবর পেয়ে আত্মীয়-স্বজনরা ছুটে এসেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে সৌদি আরবে যান চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট বশির আহমেদ। তিনি সেখানকার একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন। ওই কোম্পানিতে পাকিস্তানি কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় তার। বন্ধুত্বের সুবাদে কোম্পানির একটি ক্যাম্পে তারা এক সঙ্গে থাকতেন।

নিহত বশিরের বাবা ছিদ্দিকুর রহমান জানান, সোমবার (২৪ জানুয়ারি) থেকে আমার ছেলের কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। আমার ছেলে তো কোনো অন্যায় করেনি। কেন তাকে হত্যা করা হলো। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের যেন কঠোর শাস্তি হয়। ছেলের মরদেহ যেন দ্রুত দেশে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে চান্দিনা উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুন নাহার বলেন, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। নিহতের পরিবারকে যে কোন সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত আছি।