২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৫:০১
শিরোনাম:

সাহিনুদ্দিন হত্যা : সাবেক এমপি আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

রাজধানীর পল্লবীতে শিশু সন্তানের সামনে ব্যবসায়ী মো. সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

গত সোমবার ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আগামী বৃহস্পতিবার মামলার ধার্য তারিখে অভিযোগপত্র আদালতে উপস্থাপিত হবে।

চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- সুমন বেপারী, মোহাম্মদ তাহের, গোলাম কিবরিয়া খান, মোহাম্মদ মুরাদ, টিটু শেখ ওরফে টিটু, মোহাম্মদ রকি তালুকদার, নূর মোহাম্মদ হাসান, মোহাম্মদ শরীফ, ইকবাল হোসেন, তরিকুল ইসলাম ইমন, তুহিন মিয়া, হারুনুর রশিদ, শফিকুল ইসলাম শফিক ও ইব্রাহিম সুমন। তাদের মধ্যে শফিক ও ইব্রাহিম পলাতক। আওয়ালসহ ১৩ আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

চার্জশিটে হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না পাওয়ায় ১৩ জনকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ ছাড়া আরও দুই অভিযুক্ত মনির ও মানিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত বছর ১৬ মে পল্লবীতে শিশু সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা ২০ জনের নাম উল্লেখ করে পরের দিন পল্লবী থানায় মামলা করেন।

চার্জশিটে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনায় বলা হয়, গত বছর ১৫ মে সুমন, বাবুসহ হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী বেশ কয়েকজন পরামর্শ করেন। সে অনুযায়ী ১৬ মে বিকেলে তারা ঘটনাস্থলে জড়ো হন। এরপর তাদের ডাকে সাহিনুদ্দিন সন্তানকে নিয়ে সেখানে যান। যাওয়ার পর সুমন, মনির, মানিক, হাসান, ইকবাল ও মুরাদসহ ১০-১২ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে। পরে শরীরের ওপরের অংশে মনির এবং হাত-পায়ে কুপিয়ে মানিক মৃত্যু নিশ্চিত করে। এ সময় বাবুসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ‘লুকআউট ম্যান’ হিসেবে নজরদারি করে। হত্যাকাণ্ডটি ৫-৭ মিনিটের মধ্যে সংঘটিত হয়। মৃত্যু নিশ্চিত হলে সাবেক এমপি আউয়ালের মোবাইলে ফোন করে সুমন বলে, ‘স্যার ফিনিশড।’

সাবেক এমপি আউয়াল একজন আবাসন ও জমি ব্যবসায়ী। তার ছত্রচ্ছায়ায় সুমনের সন্ত্রাসী গ্রুপ এলাকায় জমি দখল ও আধিপত্য বিস্তার করতো। এ জন্য তারা মাসে ১০-১২ হাজার টাকা এবং ক্ষেত্রবিশেষে কাজ অনুযায়ী অতিরিক্ত টাকা পেত। দলটি এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, রিকশার টোকেন বাণিজ্য, মাদক, জুয়াসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত।