২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:৫৯
শিরোনাম:

পাকিস্তানের সংসদ ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রোববার (৩ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।

জিও নিউজের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।এর আগে এদিন দেশটির জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্টকে এই পরামর্শ দেওয়ার কথা জানান ইমরান খান।

অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হওয়ায় সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে ইমরান বলেন, ‘শাসন পরিবর্তনের প্রচেষ্টা এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ডেপুটি স্পিকার।’

এ ঘোষণার পর দেশটির তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ফাওয়াদ হুসেন এক টুইট বার্তায় জানান, ‘সংবিধানের ২২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী (ইমরান খান) তার দায়িত্ব পালন করবেন। মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’

রোববার (৩ এপ্রিল) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাওয়ার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেন ইমরান খান। জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্টকে এই পরামর্শ দেওয়ার কথা জানান তিনি।

অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হওয়ায় সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে ইমরান বলেন, ‘শাসন পরিবর্তনের প্রচেষ্টা এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ডেপুটি স্পিকার।’

জাতির সামনেই ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করা হচ্ছিল বলে মন্তব্য করে পাক প্রধানমন্ত্রী জানান, ডেপুটি স্পিকার জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পর ‘উদ্বিগ্ন’ অনেকের কাছ থেকে বার্তা পেয়েছেন তিনি। ইমরান খান বলেন, “আমি বলতে চাই ‘ঘাবরানা নেহি হ্যায়’ (চিন্তার কিছু নেই)। আল্লাহ পাকিস্তানের ওপর নজর রাখছেন।”

সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রেসিডেন্টকে লেখা এক চিঠিতে ইমরান লিখেছেন, এখন অব্যশ্যই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত যাতে জনগণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে তারা কাকে ক্ষমতায় চায়।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন। দেশের ভবিষ্যৎ কী হবে তা কোনো দুর্নীতিবাজ শক্তি ঠিক করবে না। সংসদ ভেঙে গেলে পরবর্তী নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

এর আগে রোববার (৩ এপ্রিল) অধিবেশন শুরুর পরপরই অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাশিম খান সুরি। এটিকে সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থি হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, কোনো বিদেশি শক্তিকে দেশের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া যাবে না।

অধিবেশন শুরুর পর তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫ অনুযায়ী দেশের প্রতি আনুগত্য প্রত্যেক নাগরিকের জন্য অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। এরপর তিনি ইমরান খানের বিদেশি ষড়যন্ত্রের অভিযোগটি পুনর্ব্যক্ত করেন। তার বক্তব্যের পর ডেপুটি স্পিকার সুরি অনাস্থা ভোটকে আইনপরিপন্থী আখ্যা দিয়ে তা স্থগিত করেন। তবে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের পর পার্লামেন্টে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরে অধিবেশন স্থগিত করা হয়।

এদিকে পাকিস্তানের বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সারের বিরুদ্ধেও সংবিধানের ৫৩ অনুচ্ছেদের ধারার কথা তুলে ধরে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন। এ কারণে রোববার (৩ এপ্রিল) অধিবেশনে ডেপুটি স্পিকার কাশিম খান সুরি দায়িত্ব পালন করেন। অধিবেশন ঘিরে এদিন ১৪৪ ধারা জারি করা হয় রাজধানী ইসলামাবাদে।