২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:৩৬
শিরোনাম:

৫৩ রানে অলআউট করে টাইগারদের লজ্জা দিলো প্রোটিয়ারা

বাংলাদেশকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন কেশাভ মহারাজ, নিয়েছেন ৭ উইকেট। ছবি: এএফপি/গেট্টি ইমেজ
বাংলাদেশকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন কেশাভ মহারাজ, নিয়েছেন ৭ উইকেট। ছবি: এএফপি/গেট্টি ইমেজ
এমন ব্যাটিংকে কী বলে আখ্যা দেওয়া যায়? ছন্দপতন, বিপর্যয়, লজ্জা অথবা হতশ্রী! আপনি যেভাবেই এটিকে সংজ্ঞায়িত করেন না কেন, বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম লজ্জার পরাজয় এটি। দ্বিতীয় ইনিংসে মুমিনুল বাহিনীকে মাত্র ৫৩ রানে অলআউট করে দিয়ে ২২০ রানের বড় জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

গতকাল শেষ বিকেলে ২৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। সবাই আশা করেছিল, এবার হয়তো কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু ওই কিছু একটা যে টাইগারদের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়, সেটা কে ভেবেছিল! মাত্র ৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এরপর স্কোরবোর্ডে ১১ রান যোগ করলে দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়।

তখন সবাই বলেছিল, ভাগ্যিস ম্যাচ রেফারি দিনের খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন। নয়তো আরও যে কয়টি উইকেট যেত তা বলা মুশকিল। অপরাজিত ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তাই সবাই এটাও আশা করেছিল যে, পঞ্চম দিন হয়তো ঘুরে দাঁড়াবে প্রিয় বাংলাদেশ। কিন্তু সেটা আর হয়নি। আগের দিনের ব্যাটিং বিপর্যয়ই বজায় ছিল। মাত্র ৫৩ রানে অলআউট হয়ে গেছে লাল-সবুজ বাহিনী।

সবাই ছিলেন আশা-যাওয়ার মিছিলে। আউটগুলোও ছিল দৃষ্টিকটু। আজ (৪ এপ্রিল) বাংলাদেশের বাকি থাকা ৭ উইকেটের পাঁচটিই নিয়েছেন কেশাভ মহারাজ। আগের দিনও দুটি উইকেট নেন এই স্পিনার। তিনি ১০ ওভারে মাত্র ৩২ রান খরচায় উইকেটগুলো শিকার করেন। বলতে গেলে তিনি একাই টাইগারদের ধসিয়ে দিয়েছেন। অন্য তিনটি উউকেট নিয়েছেন সিমন হার্মার। তিনি ৯ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচায় উইকেটগুলো নেন।

বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়া তাসকিন আহমেদ করেন ১৪ রান। বাকিদের মধ্যে আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। রানের খাতা খুলতে পারেননি পাঁচ জন! তারা হলেন- সাদমান ইসলাম, মুশফিকুুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন। বাকি ব্যাটারদের রান যথাক্রমে ৪, ২, ২ ও ৫!