২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:১৩
শিরোনাম:

এবার শিলিগুড়িতেই মিলবে বাংলাদেশের ভিসা, খরচ মাত্র ৮২৫ রুপি

ভারতের উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য ভিসা নিতে আর ৬০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কলকাতায় যেতে হবে না। এখন নিজ শহরে হাতের কাছেই মিলবে ভিসা। এর জন্য কোনো দালাল ধরার প্রয়োজন নেই। নামমাত্র খরচেই মিলবে বাংলাদেশের ভিসা। বুধবার (৬ এপ্রিল) শিলিগুড়িতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে পথচলা শুরু করলো বাংলাদেশের ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার। এতে উত্তরবঙ্গের মানুষদের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণ অনেকটাই সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এপার বাংলা থেকে প্রচুর মানুষ প্রতিদিন ‘সোনার বাংলায়’ পাড়ি জমান। তাদের মধ্যে ব্যবসায়ী ও পর্যটকের সংখ্যাই বেশি। এর জন্য প্রতিদিন শতাধিক মানুষ উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতা গিয়ে বাংলাদেশের ভিসার জন্য আবেদন করেন। বছরে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১৫ লাখ।

এদের মধ্যে অনেকে ভিসা পেতে অজান্তেই দালালের খপ্পরে পড়ে টাকা-পয়সা খুইয়ে ফেলেন। কাউকে আবার ভিসার জন্য সারারাত লাইনে দাঁড়িয়ে আবেদন করতে হয়। এসব সমস্যার কথা মাথায় রেখেই মূলত উত্তরবঙ্গের মানুষদের জন্য শিলিগুড়ির সেবক রোডে চালু হয়েছে বাংলাদেশের ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার।

বাংলাদেশ হাইকমিশন অনুমোদিত একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে এবং বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংকের সহযোগিতায় এটি চালু করা হয়েছে। এখানে আবেদনকারীরা তাদের পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র দিয়ে সামান্য খরচে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই কেন্দ্রে প্রতিটি ভিসার মূল্য রাখা হচ্ছে ৮২৫ রুপি, তার সঙ্গে লাগবে কেবল ৪০০ রুপি কুরিয়ার চার্জ। এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বাড়ি বসেই ভিসা পেয়ে যাবেন আবেদনকারীরা। কারও যদি আবেদন জমা দিতে সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের কর্মীরা তাদের সহযোগিতা করবেন।

এদিন অনুষ্ঠানে সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও ভারতীয় বিভাগের সিইও রওশনারা জাহান বলেন, আগে উত্তরবঙ্গের মানুষদের বাংলাদেশের ভিসা পেতে কলকাতা, গুয়াহাটি কিংবা দিল্লিতে যেতে হতো। সেখান থেকে ভিসা নেওয়া অনেকটাই সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে হয়রান হতে হতো তাদের, দালালের খপ্পরে পড়ে টাকাও খোয়ান অনেকে। সেসব দালাল চক্র রুখতে ও উত্তরবঙ্গবাসীর সুবিধার্থে এই কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোনালী ব্যাংকের শিলিগুড়ি শাখার ম্যানেজার শামীম আখতার বলেন, এই কেন্দ্রে ভিসা আবেদন করা যাবে। একই সঙ্গে সোনালী ব্যাংক থেকে কারেন্সি পরিবর্তনও করানো যেতে পারে। জনগণের সুবিধার্থে নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশনের সামনে একটি কারেন্সি বুথ থাকবে সোনালী ব্যাংকের।