২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:০৫
শিরোনাম:

হাজী সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী সেলিমের জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকার সাত নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবী শ্রী প্রান নাথের মাধ্যমে যেকোনো শর্তে জামিনের আবেদন করেন হাজী সেলিম।

আবেদনে উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে হার্ড সার্জারির সময় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাক-শক্তিহীন অবস্থায় রয়েছেন হাজী সেলিম। তিনি দেশ ও বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলে থাকলে চিকিৎসার অভাবে ও বাক-শক্তিহীনের কারণে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণে যেকোনো শর্তে তার জামিন আবেদন করছি। জামিন পেলে তিনি পলাতক হবেন না। তাই আপিল শর্তে আত্মসমর্পণ পূর্বক তার জামিন আবেদন করছি। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেতন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা করেছিল দুদক। এরপর দুদক মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল করে। জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে প্রায় ২৬ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন ও প্রায় ১০ কোটি ৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগের এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল রায়ে তার একটি ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনে হাজী সেলিমকে সহযোগিতা করার দায়ে তার স্ত্রী গুলশান আরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম ও তার স্ত্রী গুলশান আরা বেগম এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেন।

হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই নির্দেশনার আলোকে গত বছর ৯ মার্চ হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন।

ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়। হাইকোর্ট রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এদিকে, হাজী সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা বেগম মারা যাওয়ায় তার আপিলটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। এ মামলায় জামিনে ছিলেন হাজী সেলিম।