২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৭:৫০
শিরোনাম:

‘ভাইকে পানি পর্যন্ত খেতে দেয়নি ঘাতকরা’

‘আমার ভাই পানি খেতে চেয়েছিল। পানি না দিয়ে একের পর একজন ফুটবলের মতো তাকে মারধর করেছে ঘাতকরা। শরীরের এমন কোনো অংশ বাকি ছিল না যেখানে আঘাত করা হয়নি।’

এভাবে বর্ণনা দিচ্ছিলেন নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকায় নির্যাতনের সাতদিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া হোসিয়ারি শ্রমিক সুব্রত মণ্ডল জয়ের (২২) বড় বোন শম্পা মণ্ডল।

রোববার (২২ মে) বিকেলে হাসপাতালের সামনে আহাজারি করতে করতে তিনি বলেন, ‘আমার ভাই বাঁচার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। হত্যাকারীদের পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েছে। আমরা গরিব কেউ নেই আমাদের। এ হত্যার বিচার চাই আমরা।’

এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন শম্পা মণ্ডল বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন সায়েম (৩০), সাজিদ ভূঁইয়া (৩৬), নাইম উদ্দিন বাবু (৩৫), দোলন (২৫), আল-আমিন (২৫), নোমান (২২), প্রণয় (২২), রাকেশ (২০), সুদেব (৩২), অনিক রাজিব (২৬) ও মানিক (২৫)। এছাড়াও মামলায় ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৬ মে রাত সাড়ে ১২টায় সুব্রতকে ফোন করে ডেকে আসামিরা জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর রাত আড়াইটায় পুনরায় তারা বাড়ির গেটের সামনে সুব্রতকে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালের আইসিও খালি না থাকায় সিদ্ধিরগঞ্জের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান মোল্লা বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অপরাধী যেই হোক তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।