২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:২৪
শিরোনাম:

কারাগার থেকে হাসপাতালে হাজী সেলিম

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দÐপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি মোহম্মদ সেলিমকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিনে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালটির কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সোমবার বেলা ১১টার সময় হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি ৫১১ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন। ভর্তির পর তার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগামীকাল (মঙ্গলবার) পরীক্ষাগুলোর রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তখন হয়তো এ বিষয়ে জানতে পারব। ওনার আগে থেকেই তো অনেক সমস্যা রয়েছে। ওনার হার্ট, ব্রেনে সমস্যা রয়েছে। রিপোর্ট আসলে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব। হাজি সেলিমের চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।

হাইকোর্টের নির্দেশে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের পর দুর্নীতির মামলায় দÐিত আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য গত রোববার আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন। বিচারক সে দিনই তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে পাঠানোর আদেশ শোনার পর আদালত চত্ত¡রেই অসুস্থ হয়ে পড়েন হাজি সেলিম। তাকে চিকিৎসা ও কারাগারে ডিভিশনের জন্যও আবেদন করেন তার আইনজীবী। পরে আদালত এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে তাদের আইনে ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দেয়।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সেনা-সমর্থিত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে বিচারিক আদালত হাজি সেলিমকে ১৩ বছরের দÐ দিয়েছিল। রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০২০ সালের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ভার্চুয়াল বেঞ্চ তার ১০ বছরের সাজা বহাল রাখে। গত ১০ ফেব্রæয়ারি এই রায় প্রকাশ হয়। এতে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এ আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়। গত ৯ মার্চ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে হাইকোর্ট। এই হিসেবে ৯ এপ্রিলের মধ্যে কেন হাজি সেলিম আত্মসমর্পণ করেননি, সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তার আইনজীবী।

তার আইনজীবী জানান, ২০২১ সালের মার্চ মাসে মৌখিকভাবে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করে। এরপর চলতি বছরের ৯ মার্চ অনলাইনে রায়টি প্রকাশ করা হয়। আর রায়টি অফিশিয়ালি বিচারিক আদালতে কমিউনিকেট করা হয় গত ২৫ এপ্রিল। সে হিসেবে তারপর থেকে এক মাস, অর্থাৎ ২৫ মে পর্যন্ত সময় হাতে রয়েছে।