১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১১:৩৭
শিরোনাম:

২২ বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এনামুলের

কখনো মসজিদের ইমাম, কখনো হারবাল চিকিৎসক আবার কখনো শিক্ষক হয়ে নিজেকে আত্মগোপনে রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এনামুল হক। কিন্তু এতে শেষ রক্ষা হয়নি। শনিবার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত এই আসামি শেখ এনামুল হককে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানায়, এনামুল হকের বাড়ি গোপালগঞ্জে। ২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার জনসভায় ভাষণের জন্য মঞ্চ নির্মাণের সময় মাটিতে বোমা পুঁতে রাখার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা, হত্যার ষড়যন্ত্র মামলার আসামি হয়ে তিনি গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরে এসে আত্মগোপন করেন। এরপর গত দুই দশক দেশের বিভিন্ন যায়গায় নিজের নাম পরিবর্তন করে আত্মগোপন করেছিল।

সে সময় এঘটনায় ৩টি মামলা হয়। সাজাও হয় অনেকের। তবে, এনামুল ক্বারী পরিচয়ে গাজীপুরের একটি মসজিদে এসে ৮ বছর ইমামতি করে। এরপর শিক্ষকতার পাশাপাশি একটি ভুয়া হোমিও কলেজও প্রতিষ্ঠা করে এনামুল, বলেও জানায় র‍্যাব।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) আমির মুফতি আবদুল হান্নানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সূত্র ধরে এনামুল হকের পরিচয় হয়।

গ্রেপ্তারকৃত এনামুল নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হুজি’র আমীর মুফতি আব্দুল হান্নানের ছোট ভাইয়ের সাথে সাবানের কারখানা দেয়। মুফতি হান্নান ও অন্যান্য জঙ্গি নেতারা বেশ কয়েকবার সেই কারখানা পরিদর্শন ও করে। সেখানে সাবান তৈরির ক্যামিকেল সংগ্রহের আড়ালে বিভিন্ন প্রকার বিস্ফোরক দ্রব্য ও বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি কারখানায় জমা।

এনামুল নিজেকে হেপাটাইটিস-ভাইরাস, প্যারালাইসিস, ডায়াবেটিকস, মেদ, বন্ধ্যাত্ব, টিউমার, হার্ট, কিডনী, যৌন, মানসিক রোগসহ বহুবিধ রোগের সফল চিকিৎসক হিসেবে দাবী করত।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালে কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় হামলার চেষ্টা হয়। ওই সময় জনসভার স্থান থেকে উদ্ধার করা হয় ৭০ কেজি ও ৪০ কেজি ওজনের পুঁতে রাখা ২টি বোমা। পরে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করেন সেনাসদস্যরা।