২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:১৭
শিরোনাম:

গায়ে আগুন দিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় হেনোলাক্স গ্রুপের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে নিজের গায়ে আগুন দেয়া ছাত্রলীগের সাবেক নেতা গাজী আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় হেনোলাক্স গ্রুপের কর্ণধার নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে আনিসের বড় ভাই নজরুল ইসলাম শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন বলে শাহবাগ থানার এসআাই গোলাম হোসেন খান জানান।

তিনি বলেন, মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সোমবার (৪ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে গাজী আনিস জাতীয় প্রেস ক্লাবে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। আশঙ্কাজনক দগ্ধ অবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মওদুদ হাওলাদার জানান, খবর পেয়ে প্রেস ক্লাবের ভেতর থেকে দ্রুত তাকে উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পেরেছি তার নাম গাজী আনিস। বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পানটি গ্রামে। কী কারণে তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

পরে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ৬টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আনিসের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।তিনি জানান, আনিসের শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। অবস্থা শঙ্কটপন্ন হওয়ায় রাতেই তাকে আইসিইউতে নিয়ে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

প্রেস ক্লাবে উপস্থিত থাকা মোহাম্মদ আলী নামে স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার সাংবাদিক জানান, সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তিনি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। তখন ওই ব্যক্তিকে হঠাৎ নিজের গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন দিতে দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার কাছে গিয়ে পানি ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে ৯৯৯-এ কল দেন। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।

তিনি আরও জানান, গাজী আনিস নামে ওই ব্যক্তি কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। দুই-আড়াই মাস আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ‘হ্যালোলাক্স কোম্পানি’র কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পান বলে দাবি করেন।

তার ভাই নজরুল ইসলাম জানান, তাদের বাবা মৃত ইব্রাহীম হোসেন বিশ্বাস। ৯১-৯৫ সাল পর্যন্ত গাজী আনিস কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তার স্ত্রী স্বপ্না। ৩ মেয়ের জনক তিনি। ব্যবসার পাশাপাশি চাকরিও করতেন। ওই কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পেতেন। এ জন্য কয়েক দফায় সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। ওই টাকা না পাওয়ায় তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।