২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:০৮
শিরোনাম:

বর্ষাকালেও বৃষ্টিহীনতায় পার করছে রাজশাহীবাসী অস্থির জনজীবন

মঈন উদ্দিন : রাজশাহীতে বর্ষাকালেও নেই বৃষ্টির দেখা। চৈত্রের মত খরায় পুড়ছে পথ-ঘাট। ভর আষাঢ়ও বৃষ্টিহীনতায় পার করছে রাজশাহীবাসী।

বর্ষা মৌসুম শুরুর পর থেকেই এমন অবস্থা বিরাজ করছে রাজশাহীজুড়ে। সকাল থেকেই সুর্ষ দহনে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন সবাই।

রাতেও কমছে না সেই গরমের প্রকোপ। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। এক ঘণ্টা থাকলে অন্য ঘণ্টায় নেই! একে তো ভ্যাবসা গরম। তার ওপর মাথার ওপরের বৈদ্যুতিক পাখাটাও সময় সময় স্থির হয়ে থাকছে। আর তখন মানুষ আরও অস্থির হয়ে উঠছেন। গরমের দাপটে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্থির ছিটেফোঁটাও অবশিষ্ট নেই।

বিদ্যুতের আসা-যাওয়া লেগেই আছে রাজশাহীতে। রাজশাহী মহানগরীর মধ্য ও নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছেই না। এতে জনজীবনে আরও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

বেড়েছে রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে কোমলপানীয় বিক্রি। গরম থেকে বাঁচতে নিম্নমাণের বিভিন্ন পানীয় পান করছেন পথচারীরা। আর সচেতন মানুষ বেশি টাকা দিয়ে ডাবসহ বিভিন্ন ধরনের শরবত পান করছেন। গরমে ডাবের দামও আগুন! ছোট একটি ডাবও ৫০ থেকে ৬০ টাকা। মাঝারি ও বড় ডাব ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার বলছে, রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখনও ৩৫ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই ওঠানামা করেছে।

সর্বশেষ রবিবার রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশে সর্বচ্চো তাপমাত্রার রেকর্ড।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রেজওয়ানুল হক বলেন, এই আষাঢ়েও রাজশাহীতে বৃষ্টির দেখা নেই। তাই তাপমাত্রা কমছে না। ভ্যাপসা গরমে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। রাজশাহীতে সর্বশেষ বৃষ্টিপাত হয়েছে গত ২৮ জুন। ওই দিন শূন্য দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তাই ভারী ও লাগাতার বর্ষণ ছাড়া এই গরম কাটবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি জানান, আষাঢ় মাস শুরুর পর থেকে গত ১৯ দিনে রাজশাহীতে বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র ৩৬ মিলিমিটার।