২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:২৫
শিরোনাম:

ঈদের বাকী মাত্র তিনদিন, কলাপাড়ার বাজারগুলোতে নেই কোন ভীড়

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পৌরশহর সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার গুলোতে কাঙ্খিত কোন ভীড় দেখা যাচ্ছে না। বিগত বছরগুলোতে ঈদের অন্ততঃ এক সপ্তাহ আগে থেকে বাজার গুলোতে ব্যাপক লোকসমাগম হয়। এসময় বেচাবিক্রি হয় মুদি মনোহরী, বিভিন্ন বস্ত্রবিপনী ও ইলেকট্রনিক্স দোকান গুলোতে। ঈদের মাত্র তিনদিন বাকী থাকলেও এবছর এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ভীড় দেখা যাচ্ছে না ক্রেতাদের। তবে কিছুটা ভীড় দেখা যায় স্বর্নের দোকান গুলোতে। এসব
দোকানে মূলতঃ সুদে টাকা নিতেই মানুষের ভীড় বলে জানা গেছে।

জানা গেছে এক ফসলি কৃষি এবং মাছ উপর নির্ভর কলাপাড়ায় বর্তমানে ক্ষেতে কোন ধান নেই, সাগরে মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞার কারনে আহরন করতে পারছে না সামুদ্রিক মাছ। এছাড়া দ্রব্যমূল্যর উর্ধ্বগতির কারনে মানুষের নাভিশ্বাস চরমে উঠেছে। বর্তমানে মানুষ স্বাভাবিক কেনাকাটায় হিমশিম খাচ্ছে। তারমধ্যে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে কেনাকাটায়, বেশীর
ভাগ মানুষের আগ্রহ নেই। ফলে অধিকাংশ দোকান-পাটে তেমন কোন বেচা-কেনার কর্মতৎপরতা নেই বললেই চলে।

এদিকে,স্থানীয় গরু বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বছরের তুলনায় এ বছর গরু কিংবা ছাগল ক্রেতার সংখ্যা কম। ফলে ওই বাজার গুলো কেনা-বেচাও অনেকটা মন্দাভাব বিরাজ করছে। বাজারে ক্রেতাসমাগম না বাড়লে অধিকাংশ গরু বিক্রেতাদের লোকসানে পড়তে হবে বলে গরু বিক্রেতারা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ক্রেতা আবদুর রহমান জানান, এ বছর দাম অনেকটা সাধ্যের মধ্যে। তবুও ক্রেতা যেন গত বছরের তুলনায় অনেকটা কম। বিক্রেতা আবদুল হক জানান, গতবছর যে গরু ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি, এ বছর ওই সাইজের গরু অন্ততঃ ২০ হাজার টাকা কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে।