২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:১৭
শিরোনাম:

আওয়ামী লীগ সরকারকে হটানো সবার দায়িত্ব: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বারবার বাড়ানো হচ্ছে জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মানুষের প্রতি অত্যাচার শুরু করেছে। একের পর এক মূল্যবৃদ্ধিতে দেশের জনগণ আজ দিশেহারা। এই সরকার আজ দানবে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারকে হটানো আজ সবার জন্য দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আজ শনিবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।পুলিশের গুলিতে নিহত সংগঠনের ভোলা জেলা সভাপতি নুরে আলম হত্যার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে ছাত্রদল।

সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষের গণদাবি নিয়ে বিএনপি যখন গণ-আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তখন এই ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের পেটোয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে গুলি করে হত্যা করল স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম ও ছাত্রদলের ভোলা জেলা সভাপতি নুরে আলমকে। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার টিকে আছে ভয়ভীতি, হত্যা ও দমন-পীড়ন করে। রহিম ও আলমের আত্মত্যাগ চলমান সংগ্রাম ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার গণআন্দোলন আরও বেগবান করবে।

ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার আমাদের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে অন্তরীণ রেখেছে এ সরকার। তারুণ্যের অহংকার আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশান্তরি করে রেখেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা (সরকার) যে দুর্নীতি করছে তার প্রমাণ মধ্যরাতে জ্বালানি তেলের দাম আকাশচুম্বী বাড়িয়ে দেওয়া। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বললে- সহনীয়ভাবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করা হবে, অথচ কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৫০ শতাংশ মুল্য বৃদ্ধি করা হলো। এই বৃদ্ধি জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। পরিবহন, নিত্যপণ্যসহ সর্বক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। মাঝখানে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ।

ফখরুল বলেন, `সরকার সরানোর আন্দোলনের কথা বললেই তারা (সরকার) ষড়যন্ত্রের কথা বলেন। আমরা ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করি না। যে অধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল আমরা সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই।’

বিএনপি মহাসচিব দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে এক হবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, `আর সময় নেই। আসুন একসঙ্গে রাজপথে নামি। জনগণ আজ জেগে উঠেছে। ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন মাধ্যমেই এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’

ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছাত্র সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ছাত্রদলের সাবেক শীর্ষ নেতা শামসুজ্জামান দুদু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, এবিএম মোশারফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম আলিম, আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশিদ হাবিব, আবদুল মোনায়েম মুন্না, শহীদুল ইসলাম বাবুল, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান মিন্টু, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।