২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:২৪
শিরোনাম:

বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া জড়িত না হলে খুনিরা পুরস্কৃত কেন, প্রশ্ন কাদেরের

জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিয়াউর রহমান জড়িত যদি না-ই হন; তাহলে খুনিদের কেন পুরস্কৃত করা হয়েছে প্রশ্ন করেছেন ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৬ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে এ প্রশ্নটি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি আজ একটা প্রশ্ন করবো, আগস্ট এলে এ প্রশ্ন অনেক বার করেছি। জবাব পাইনি। ১৫ আগস্ট জেনারেলের জিয়া যদি জড়িত না থাকতেন, খুনিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠানো, বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি কে দিয়েছিল?

এ সময় বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি খন্দকার মোশতাককে পলাশীর মীর জাফর আলী খান ও জিয়াউর রহমানকে রায় দুর্লভ বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাদের সেনাপতি হিসেবে ইয়ার লতিফের নাম উচ্চারণ করেন ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশ্বাসঘাতকতার রক্ত ছুঁড়েছে পঁচাত্তরে। কেন ৭৫ এর খুনিদের পুরস্কৃত করা হলো? এ প্রশ্নের জবাব বিএনপি কোনোদিনও দিতে পারবে না। খুনিদের বিচার বন্ধে যারা ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছিল- তাদের নেতা জিয়াউর রহমান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মাঝে মাঝে ভাবী পঁচাত্তরের ঘাতকদের সাথে কীভাবে কর্ম সম্পর্ক রাখবো রাজনৈতিক অঙ্গনে। এরা কারা? এরা তাদেরই রাজনীতি করে, যাদের রাজনীতি ছিল হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি ৷ বন্দুকের নল থেকে যাদের জন্ম। বঙ্গবন্ধুর হত্যার নেপথ্যের মাস্টার মাইন্ড, তারাই ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা করেছিল। কীভাবে এদের সঙ্গে রাজনীতি করবো। কর্ম সম্পর্কের দেয়াল তো তারাই তুলেছে।

আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘প্রেরণাদায়িনী মা’ শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধু পত্নী ফজিলাতুন নেছা মুজিব সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি শুধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ছিলেন না, ছিলেন সহযোদ্ধা ও সহকর্মী। আমি জানতে চাই, বেগম মুজিব তো সক্রিয় রাজনীতি করেননি। তিনি কেন হত্যাকাণ্ডের শিকার? নয় বছরের শিশু শেখ রাসেল কেন হত্যাকাণ্ডের শিকার? কী অপরাধ তাদের?

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল খালেক,  শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী হাশেম খান, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শিক্ষা ও মানব সম্পদ উপ কমিটির সদস্য বদিউজ্জামান সোহাগ বক্তব্য দেন।