২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:৪৩
শিরোনাম:

গজারিয়ায় ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি অর্থ লুটপাট, —পর্ব ১

নেয়ামুল হক নয়ন গজারিয়া প্রতিনিধি:
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় দুর্যোগ ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পের আওতাধীন গজারিয়া উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য,  প্রকল্প সভাপতিদের নামে  চাল ও গম বরাদ্দ দেওয়া হয়।
গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কারে প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় বরাদ্দকৃত প্রকল্পের মেয়াদ প্রথম বরাদ্দ জানুয়ারি হতে জুন এবং দ্বিতীয় বরাদ্দ জুন হতে ডিসেম্বর প্রকল্প ২০২১- ২২সাল ধার্য করা হয়।
২০২১-২২ সালের অর্থবছরে বরাদ্দকৃত প্রকল্পের মধ্যে (১) টেঙ্গারচর ইউনিয়নে বৈদ্দারগাঁও দক্ষিণপাড়া হইতে ফসলের মাঠ ও গোরস্থানে যাওয়ার নতুন রাস্তা নির্মাণে ১৪ মেঃ টন চাউল ও (২)গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে পুরাতন চরচার্ষী আখি বাড়ি জামে মসজিদ হইতে এইচবিবি রাস্তা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারে সাড়ে চার মেঃ টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পের তালিকা নিয়ে সরজমিনে গিয়ে কোন প্রকল্প দৃশ্যমান পাওয়া যায়নি।
প্রকল্প সভাপতি টেংগারচর ইউনিয়ন ৪নং  ইউপি সদস্য আল আমিন ও গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন ৮নং ইউপি সদস্য আলি আহম্মেদ এর সাথে যোগাযোগ হলে এ প্রকল্পের বিষয়ে সঠিক জবাব দিতে পারেনি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০২১-২২ সালের অর্থ বছরের তারিখ ও স্মারক নং সম্মিলিত বরাদ্দের পরিমাণ চাল(১৪৬,৬৬৮) মেট্রিক টন ও গম (১৪৬৬৬৪) মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।
প্রথম বরাদ্দের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে, দ্বিতীয় প্রকল্পের মেয়াদ শুরুর দিকে। প্রকল্পের অগ্রগতির ব্যাপারে বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করলে অনেকটাই  অনিয়মের দায়ভার শিকার করে।
গজারিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান অনেক কাবিখা প্রকল্প আছে বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য চাল, গম বিক্রয় করে সমপরিমাণ অর্থ নিয়ে যায় প্রকল্প সভাপতিরা । কাজ না করার কারণে  প্রকল্প বাস্তবায়নের গরমিল পাওয়া যায়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে কর্তৃপক্ষ।