২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:৩৯
শিরোনাম:

সরকারের দুর্নীতির কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম: ফখরুল

সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দৈনন্দির ভোগ্যপণ্য পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের কিছু সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী চক্রের হাতে দৈনন্দিন ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনা জিম্মি হয়ে আছে। মূল্যবৃদ্ধির এই দুর্নীতিবাজ চক্রের শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে সরকারের চালিকা শক্তিরাই। সরিষায় ভূত থাকলে ভূত তাড়াবে কে? রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখণ যা হওয়ার তাই হচ্ছে বাংলাদেশে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখানকার যে মূল্যস্ফীতি, এখানে যে অর্থনৈতিক দুরাবস্থা এর সবকিছুর মূল্যে হচ্ছে সরকারের দুর্নীতি। এই দুর্নীতির কারণেই দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, তাদের দুর্নীতির কারণেই আজকে সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার দাপটে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্ররা পিষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সরকারের দুর্নীতি, টোটাল ফেলিউর, অব্যবস্থাপনার কারণে আজকে এই অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, যেখানে সরকারের বিনিয়োগ করার প্রয়োজন নেই, সরকার সেখানে টাকা দিচ্ছে। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মাসেতু ৩০ হাজার কোটি টাকার ওপরে নিয়ে গেল। কিছুদিন আগে দেখেছে যে, এয়ারপোর্টের রাস্তার সমস্যা- এখানে প্রতি কিলোমিটারে ২৩০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। অথচ কী অবস্থা? ১০ বছরে এখন পর্যন্ত এই অবস্থায়ই পড়ে আছে। অর্থাৎ এসবের মূল কারণটাই হচ্ছে দুর্নীতি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারি হিসেবেই গত জুন মাসের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ যা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ রেকর্ড। বর্তমানে মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও অনেক কমে গেছে। নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের মানুষ নানাভাবে ব্যয় কমিয়ে টিকিয়ে থাকার চেষ্টা করছেন। নিজের আয় দিয়ে আর চলতে না পারায় স্ত্রীকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে অনেকেই ফ্যামিলি বাসা ছেড়ে উঠেছেন মেসে। মানুষ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে।

তিনি বলেন, কাঁচাবাজার থেকে একটি পরিবারে যা যা কিনতে হয়, তার প্রায় সব কিছুরই দাম আরেক দফা বেড়েছে। এই তালিকায় চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা আছে, তেমনি রয়েছে সবজি, ডিম, মুরগির দাম। পিছিয়ে নেই মাছ ব্যবসায়ীরাও। এই মূল্যবৃদ্ধি সেসব সীমিত আয়ের মানুষের ওপরে সরাসরি আঘাত, যারা ইতোমধ্যে মূল্যস্ফীতিতে নাকাল।

বামদলীয় জোটের কর্মসূচিতে সমর্থন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বলেছি যেকোনো দলের যেকোনো ন্যায়সঙ্গত দাবির আন্দোলনে আমরা সমর্থন করি সব সময়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধবগতির প্রতিবাদে বামজোট আগামী ২৫ আগস্ট সারা দেশে আধা-বেলা হরতাল ডেকেছে।’

প্রধানমন্ত্রীর কথায় বিশ্বাস নেই

বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপরে নির্যাতন করা হবে না, আন্দোলন দমন করা হবে না’-প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা কখনই উনার (প্রধানমন্ত্রী) কোনো কথায় বিশ্বাস করি না। এটা একটা কারণে যে, তারা যা বলে তা করে না।আমরা বলেছি যে, সমস্ত কথা-বার্তায় প্রতারকের ভুমিকা পালন করে তারা।’