২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:০৬
শিরোনাম:

বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে শিক্ষিকাকে ‘ধর্ষণ’, শিক্ষক গ্রেপ্তার

১২ বছর ধরে চলছিল প্রেম। সে সম্পর্কের জেরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে হয়েছে শারীরিক সম্পর্কও। তবে প্রেমিকা বিয়ে করতে বলায় তাতে আপত্তি জানান প্রেমিক। এরপর পেশায় শিক্ষিকা ওই নারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করলে গ্রেপ্তার হন পেশায় শিক্ষক ওই আসামি। পরে তাকে রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ মহকুমা আদালত।

পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানায়, গ্রেপ্তার শিক্ষকের নাম অর্পণ তরফদার। তিনি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন। বনগাঁর পেট্রাপোল থানার হরিদাসপুর এলাকার বাসিন্দা অর্পণ।

অর্পণের সঙ্গে ১২ বছর আগে একই এলাকার এক শিক্ষিকার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা একসঙ্গে পড়ালেখা করতেন। প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা শেষ হওয়ার পর চাকরির জন্যও একসঙ্গে পড়ালেখা করতেন তারা। সেই সময় থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এলাকাবাসীও তাদের প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে জানতেন।

পরবর্তী সময়ে দুজনেই আলাদা আলাদা বিদ্যালয়ে চাকরি পান। অভিযোগকারী শিক্ষিকা অন্য জেলায় চাকরি করতে যান। সে কারণে তাদের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ কমে যায়। এ সুযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক তার প্রেমিকাকে এড়িয়ে চলতেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

কয়েক দিন আগে ওই শিক্ষিকা তার প্রেমিক অর্পণকে বিয়ের কথা বলেন। তবে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন অর্পণ। এরপরই বনগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা।

ওই মামলায় গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে অর্পণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাকে রিমান্ড আবেদন জানিয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত তার রিমান্ডের আদেশ দেন। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অর্পণ।