২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:৪৬
শিরোনাম:

১ লাখ তেলাপোকা, সাপ ও কচ্ছপের সঙ্গে বাস!

শখের মাশুল দিতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের এক নারীকে। পশুপাখিদের সঙ্গে থাকতে ভালবাসেন, তাই নিজের বাড়িটাকেই বানিয়ে ফেলেছিলেন ছোটখাটো চিড়িয়াখানা। তবে ফল ভাল হলো না। বাড়িতে এক লাখ তেলাপোকা এবং অন্যান্য পশুপাখি জমিয়ে রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় নারীকে। দেশ রূপান্তর

অভিযুক্ত আটক নারীর নাম কারিন কিজ। ৫১ বছর বয়সী ওই নারী নিজেকে একজন সমাজকর্মী এবং পশুপ্রেমী হিসাবে দাবি করেন। তার বাড়ি থেকে সম্প্রতি ১ লাখ তেলাপোকা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বাড়িতে আরও ৩০০ পশুপাখি রাখা ছিল বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে প্রশাসনের তরফে গত মঙ্গলবার তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। উদ্ধার করা হয়, ১১৮টি খরগোশ, নানা প্রজাতির দেড়শো পাখি, ৭টি কচ্ছপ এবং ৩টি সাপ। কারিনের বাড়িতে ১৫টি বিড়াল ছিল বলেও জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। অভিযোগ, পশুপাখি, কীটপতঙ্গদের অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রেখেছিলেন কারিন। বাড়িময় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল তাদের মলমূত্র।

উদ্ধারকারীরা কারিনের বাড়িতে দুর্গন্ধে বেশি ক্ষণ টিকতে পারেননি বলেও দাবি করেছেন। তাদের বিশেষ পোশাক পরে ওই বাড়িতে ঢুকতে হয়েছিল। জোর করে পশুপাখিদের আটকে রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কারিনকে।

ওই নারীর পরিচিতরা জানিয়েছেন, পশুপাখি, কীটপতঙ্গদের নিয়ে থাকতেই পছন্দ করেন তিনি। তাদের ছাড়া থাকতে পারেন না। কোথা থেকে এত পশুপাখি তিনি সংগ্রহ করলেন, তা-ও জানা গিয়েছে পরিচিতদের বয়ান থেকেই।

কারিনের এক পরিচিত জানান, নিকটবর্তী একটি পশু সংগ্রহশালা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন কারিন। পশুপাখিগুলো যাতে ‘ঘরছাড়া’ না হয়ে যায়, তাই তাদের আশ্রয় দেন তিনি।

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধার করা পশুপাখিগুলোকে বাঁচানো যাবে। তবে যে পরিবেশে তাদের রাখা হয়েছিল, সেখানে আর বেশি দিন থাকলে সকলের মৃত্যু হতে পারত। প্রাণীর বেঁচে থাকার উপযোগী পরিবেশ কারিনের বাড়িতে ছিল না বলে অভিযোগ। কারিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে তার জেল পর্যন্ত হতে পারে।

জানা গিয়েছে, ঘনিষ্ঠ মহলে কারিন ‘স্নো হোয়াইট’ নামে পরিচিত। বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীরা তাকে ওই নামেই ডাকেন। কারিন যে বাড়িতে এতো পশুপাখি রেখেছিলেন, তা তার পরিচিতরা ছাড়া বিশেষ কেউ জানতেন না। গত মাসে তার কীর্তি সম্পর্কে ইঙ্গিত পায় প্রশাসন। তার পর ওই বাড়িতে হানা দেওয়া হয় মঙ্গলবার।

কারিনের বাড়ি থেকে পশুপাখিগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার জন্য পশু চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছিল। তারা উদ্ধারকৃত তেলাপোকা, কচ্ছপ, সাপ, খরগোশ, পাখি এবং বিড়ালগুলোকে নিয়ে গিয়েছেন।