১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ২:২৭
শিরোনাম:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে রোববার মুখোমুখি পাকিস্তান-ইংল্যান্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা নামছে রোববার (১৩ নভেম্বর)। এদিন ফাইনালে মুখোমুখি হবে ক্রিকেট বিশ্বের পরাশক্তি পাকিস্তান ও ক্রিকেটের জনক ইংল্যান্ড। আরেক পরাশক্তি ভারত থাকবে ফাইনালে দর্শক হয়ে। কার ভাগ্যে জুটবে বিশ্বকাপের শিরোপা? এই প্রশ্ন নিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব তাকিয়ে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় খেলা শুরু হবে।

ফাইনাল ম্যাচ খেলার আগে পাকিস্তানের অধিনায়ক মনে করছেন তাদের গুরু ক্রিকেট কিংবদন্তী ইমরান খানের। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলারের হৃদয়ে ইয়ন মর্গ্যানের নাম। ১৯৯২ সালে যে মঞ্চে বিশ্বকাপ জিতিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটে অমর হয়ে গেছেন ইমরান খান, সেই মেলবোর্ন ক্রিকেট মাঠেই এবার বাবর আজমের সামনে সুযোগ ইতিহাসে নিজের নাম খোদাই করে রাখার।

একই হাতছানি জস বাটলারের সামনেও। আইরিশ হয়েও ওয়েন মর্গ্যান ইংল্যান্ডের সমৃদ্ধ ক্রিকেট ইতিহাসে চিরস্থায়ী জায়গা পেয়ে গেছেন ইংলিশদের বহু আরাধ্য ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতিয়ে। ইতিহাসে জায়গা পাকা করার সুযোগ এখন জস বাটলারেরও। ট্রফি জিতলেই অবশ্য ইমরান কিংবা মর্গ্যানের উচ্চতা স্পর্শ করার সুযোগ নেই দুজনের জন্য। ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের গুরুত্ব, ওজন ও প্রভাব অনেক বেশি।

শুধু এটুকুই নয়। নিজ নিজ দেশের ক্রিকেটে ইমরান ও মর্গ্যানের শ্রেষ্ঠত্ব বিশ্বকাপ জয় দিয়েই হয়নি। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার নায়ক দুজন। দিনের পর দিন নিজেদের নেতৃত্ব দিয়ে প্রভাব বিস্তার করেছেন তারা, নিজস্বতার ছাপ রেখেছেন, অধিনায়ক ছাপিয়ে নেতা হয়ে উঠেছেন এবং সবকিছুর পূর্ণতা পেয়েছে বিশ্বকাপ দিয়ে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড একবার করে শিরোপা জিতেছে। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসরে শিরোপা জিতে পাকিস্তান। লর্ডসের ফাইনালে শ্রীলংকাকে ৮ উইকেটে হারায় তারা।

২০১০ সালে বিশ^কাপের তৃতীয় আসরের ফাইনালিস্ট ছিলো ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রিজটাউনের কিংস্টন ওভালের ফাইনাল ম্যাচে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছিলো ইংল্যান্ড।

টি-টোয়েন্টিতে ক্রিকেটে ২৮বার লড়াই হয়েছে পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের। এরমধ্যে ১৮টিতে জিতেছে ইংলিশরা। নয়টিতে জয় পাকিস্তানের। ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত।