২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:০৫
শিরোনাম:

ভারত নেই বলে ৭৫ ডলারের টিকিট বিক্রি হচ্ছে ২৫ ডলার

স্পোর্টস ডেস্ক: ওমর মোহাম্মদ হারিছের এখন নিজের চুল নিজে ছেঁড়ার মতো অবস্থা। নেদারল্যান্ডস দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেওয়ার পরই মেলবোর্নপ্রবাসী এই পাকিস্তানি তরুণ বুঝে গিয়েছিলেন বাবর আজমদের সেমিফাইনালের দুয়ার খোলা। সেমিফাইনাল মানেই তো ফাইনালের সুবাস ছড়াতে থাকা। প্রথম আলো

অনলাইন থেকে প্রায় ৩০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার দিয়ে নিজের আর তিন বন্ধুর জন্য ফাইনালের চারটি টিকিট কিনে ফেলেন। পাকিস্তান যদি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে, মেলবোর্নে থেকেও সেটি না দেখা তো তার জন্য অন্যায়ই হবে। কিন্তু অ্যাডিলেডের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে ভারতের হারের পর যা দেখছেন, তাতে উবারচালক হারিছের আফসোস কেবলই বাড়ছে। ৭০-৭৫ ডলারের ফাইনালের টিকিট যে এখন মেলবোর্নে মিলছে মাত্র ২৫ ডলারে

অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের মতো এখানেও ভারতীয় প্রবাসীরাই সংখ্যায় বেশি, প্রায় আড়াই লাখের মতো। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) আগামীকালের ফাইনালে ভারত থাকবে ধরে নিয়ে তাদের অনেকেই অগ্রিম টিকিট কিনে রেখেছিলেন। কিন্তু সেমিফাইনালে জস বাটলারদের কাছে রোহিতদের ১০ উইকেটের হার তাদের মনটাই দিয়েছে ভেঙে দিয়েছে। যে ফাইনালে ভারত নেই, সে ফাইনাল তারা আর দেখতে চান না। অনেকেই তাই এখন সস্তায় টিকিট ছেড়ে দিচ্ছেন। এই সুযোগে কম দামে সেসব টিকিট কিনে নিচ্ছেন পাকিস্তানিরা।

উপমহাদেশ তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটেই ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের রসায়ন বহুমুখী। ক্রিকেটের সঙ্গে ইতিহাস আর রাজনীতি যোগ হয়ে সেটিকে নিয়ে যায় অন্য মাত্রায়। ভারত ফাইনালে উঠতে না পারায় পাকিস্তানের অনেক মানুষ যেমন উৎসব করেছেন, আবার হারিছের মতো কেউ কেউ মনে করেন ইংল্যান্ডের জায়গায় শিরোপার লড়াইয়ে রোহিত-কোহলিরা থাকলেই বরং বেশি ভালো হতো।

ফাইনালটা তখন আরও উত্তেজনাপূর্ণ হতো। কারণ, সামনে ভারত থাকলেই নাকি পাকিস্তান বেশি তেতে ওঠে। ভারতকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া গেলে আনন্দটাও বেড়ে যেত কয়েক গুণ।