২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:২৯
শিরোনাম:

ঢাকার ৯টি স্থানে বড় পর্দায় খেলা দেখাচ্ছে ডিএনসিসি

বিশ্বকাপ ফুটবলের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে রাজধানীতে নয়টি স্থানে বড় পর্দায় খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। স্থানগুলো হলো রাজধানীর উত্তরার রবীন্দ্র সরণি, মানিক মিয়া এভিনিউ, হাতিরঝিলের মধুবাগ মুজিব চত্ত্বর, গুলশান-২ এর নগর ভবন, মোহাম্মদপুরের বছিলা (লাউতলা খাল সংলগ্ন), প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠ, কাচকুড়া কলেজ মাঠ, শ্যামলী পার্ক, ও খিলগাও তালতলা মার্কেট।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় আরও কয়েকটি স্থান নির্বাচন করে এই সংখ্যা বাড়ানো চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকালে মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠে বড় পর্দায় খেলা দেখানোর এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। পরে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে বসে আর্জেন্টিনা বনাম সৌদি আরবের খেলা দেখেন।

এ সময় মেয়র বলেন, ‘মাঠে একসাথে সবাই মিলে খেলা দেখার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে। বড় পর্দায় খেলা দেখানোর ফলে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ডিএনসিসির সব এলাকায় মাসব্যাপী বিশ্বকাপের সব খেলা বড় পর্দায় (ডিজিটাল স্ক্রিন) দেখানো হবে।’

ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘দলবেধে খেলা দেখার আনন্দ অনেক বেশি। সবার আনন্দের কথা চিন্তা করে আমরা বিভিন্ন জায়গায় বড় পর্দায় খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করেছি। অনেকে অফিস থেকে ফেরার পথেই খেলা দেখার সুযোগ পাবে।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘জনগণের সুযোগ-সুবিধা ও সমস্যার কথা শোনার জন্য আমি প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা শুরু করেছি। জনগণের কাছে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা সরাসরি শোনার জন্য আমি নিজে তাদের কাছে যাচ্ছি। জনগণের দাবি পূরণ করে ও সমস্যা সমাধান করে সুন্দর নগর গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য। জনগণকে সম্পৃক্ত করে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।’

শিশুদের খেলাধূলার গুরুত্বের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে যেমন প্রয়োজন শারীরিক সুস্থতা, তেমনই প্রয়োজন মানসিক সুস্থতা। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ শহরে প্রয়োজনীয় খেলার মাঠ নেই। চারপাশে শুধু ভবন নির্মাণ হচ্ছে। শুধু ভবন নির্মাণ করলে হবে না। শিশুদের বিকাশের জন্য খেলার সুযোগ করে দিতে হবে।’

ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘ছোট শিশুদের কথা চিন্তা করতে হবে। শিশুরা যখন খেলার মাঠের জন্য অনশন করে সেটা সত্যি দুঃখজনক। মাঠের অভাবে তারা খেলতে পারে না। মানুষ হাটার সুযোগ পাচ্ছে না। ডায়বেটিকস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মাঠের জায়গায় প্লট এটা মানা যায় না। এই প্যারিস রোড মাঠে শিশুরা উৎসবমুখর পরিবেশে আজকে খেলা দেখছে এবং প্যারিস রোডের এই মাঠে শিশুরা খেলবে। এই স্থানটি মাঠ হিসেবেই থাকবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বড় পর্দায় মাঠে একসাথে বিপুল সংখ্যক মানুষ একসাথে খেলা দেখার কারণে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। শিশুদের আনন্দের কথা ভাবতে হবে। তাদের জন্য খেলার মাঠের ব্যবস্থা করতে হবে। এই প্যারিস রোড মাঠ প্লট হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো। এখানে কিছুতেই প্লট বরাদ্দ দেয়া যাবে না। প্লট যারা পেয়েছিলেন তাদের জন্য অন্য জায়গায় প্লটের ব্যবস্থা করা হবে। এটি খেলাধুলার জন্য মাঠ হিসেবেই থাকবে।’

৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কাউন্সিলরবৃন্দ।