২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:৪৪
শিরোনাম:

দেশে সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: কাদের

দেশে সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার বিকেলে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তৃতাকালে কাদের এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশে এখন চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে সরকার হটানোর। এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের প্রস্তুত হতে হবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো শক্তি নেই তাকে পরাজিত করার।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দিতে সংবিধানে কুখ্যাত আইন প্রণয়ন করেছেন, ভুলিনি মির্জা ফখরুল। ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে, জাতীয় নেতাদের সেই খুনিদের তারা পুরস্কৃত করেছে বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে। আমরা ভুলিনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) হত্যা করার জন্য তারা গ্রেনেড হামলা করেছে। বিএনপি আমাদের মারতে চায়, হত্যা করতে চায়। কথায় কথায় বলে ’৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘লন্ডনে থাকা দণ্ডিত তারেক রহমান নাকি তাদের নেতা। বিএনপি তাকে নেতা মানতে পারে। বাংলাদেশের মানুষ তাকে নেতা মানতে পারে না। তার নেতৃত্ব বাংলাদেশের মানুষ কোনো দিনও পছন্দ করবে না, ঘৃণা করবে। ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড জেনারেল জিয়াউর রহমান। ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান। এ খুনিরা আওয়ামী লীগকে সহ্য করে না। এ দল আওয়ামী লীগকে সহ্য করতে পারে না। শেখ হাসিনাকে সইতে পারে না। লন্ডন থেকে বলে হাসিনা, তুইও বলে তুমিও বলে। বেয়াদবির সীমা আছে।’

বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, আপনিসহ আপনার নেতারা যেসব কথা উচ্চারণ করেন, যেসব ভাষায় কথা বলেন, (সরকারের) পতন ঘটাবেন; আল্লাহ যারে ক্ষমতায় রাখবে, কেউ কি তার পতন ঘটাতে পারবে? পতন আপনাদের হবে। আপনাদের পতন নেতিবাচক রাজনীতির জন্য অনিবার্য। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবো।’

নোয়াখালী আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিভেদের অবসানের ইঙ্গিত দিয়ে কাদের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘একরাম আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে, তাই আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আগামী দিনে তারা (নোয়াখালীর নেতারা) মিলেমিশে দলকে শক্তিশালী করতে কাজ করবে।’

কবিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমির সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, যুগ্ম-আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন, শহীদুল্লাহ খাঁন সোহেল প্রমুখ।