২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:৩৯
শিরোনাম:

পুলিশ মামলা প্রত্যাহার না করলে রংপুর অচল করার হুঁশিয়ারি

রংপুর জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে পুলিশের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না হলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে রংপুর জেলা অচলের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন দলটির নেতারা। তাদের অভিযোগ, পুলিশ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও ফরমায়েশি মামলা দিয়ে নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছেন।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর মহানগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফসার আলী এ আল্টিমেটাম ঘোষণা দেন।

লিখিত বক্তব্যে আফসার আলী বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নেয় জেলা বিএনপি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর শাপলা চত্ত্বর থেকে একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ কার্যালয়ের অভিমুখে রওনা হয়। পথে শ্যালো মার্কেটের সামনে পুলিশ বেরিকেড দিয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিলটিতে বাধা দেয়। নেতা-কর্মীরা পুলিশকে আশ্বস্তসহ অনুরোধ করলেও পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দেন।

একপর্যায়ে পুলিশ কোনো কথা না শুনে নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ ও রাইফেলের বাট দিয়ে মারধর শুরু করে। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে কেউ দলীয় কার্যালয়ে আবার কেউ বাইরে ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় নিরাপদ আশ্রয় নেন। কিন্তু পুলিশ দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে নেতা-কর্মীদের আবারও মারধর শুরু করে। এসময় আনিছুল মণ্ডল ও রাশেদুল ইসলামের মাথা ফেটে যায় এবং আরও অনেকে আহত হন বলেও তিনি দাবি করেন।

তিনি আরও বলেন, রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ২২ নভেম্বর তার এক নিকটাত্মীয়ের হার্ট অপারেশন ও ব্যবসার কাজে ঢাকায় ছিলেন। কিন্তু তাকেসহ ১৮ জনকে এবং অজ্ঞাত আরও ২০০ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়েছে পুলিশ। শান্তিপূর্ণ মিছিলটিকে বাধাগ্রস্ত করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে লাঠিচার্জসহ মারধর করাটা সন্দেহজনক। পুলিশের দাবি মতে, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ একটি মনগড়া কাহিনী মাত্র। পুলিশের করা মামলার ধারার সঙ্গে ঘটনার বর্ণনা সাংঘর্ষিক।

আফসার আলী বলেন, এই মামলাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা, বানোয়াট ও ফরমায়েশি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি। যদি ওই সময়ের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার করাসহ নেতা-কর্মীদের হয়রানি বন্ধ না করা হয় তাহলে মঙ্গলবার থেকে প্রতি উপজেলায় মানববন্ধন, পৌরসভা ও জেলা শহরে প্রতিবাদ সভাসহ শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করা হবে। এতেও যদি মামলা প্রত্যাহার না হওয় আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে রংপুর অচল করে দেব।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পরিতোষ চক্রবর্তী, মোহাম্মদ আলী সরকার, ওয়াহেদুজ্জামান মাবু, অ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দিন, কাজী খয়রাত হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন, আমিনুল ইসলাম রাঙ্গাসহ ছাত্রদল, যুবদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, ওলামা দল, জাসাসসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।