২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১০:০৭
শিরোনাম:

জনগণের কাছে যেতে হলে বিএনপিকে ক্ষমা চাইতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি জনগণের কাছ থেকে দুরে সরে গেছে, আবার জনগণের কাছে যেতে হলে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যে অপরাজনীতি করেছে, মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, সেগুলোর জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

তিনি বলেন, সম্ভবত বিএনপির দম ফুড়িয়ে গেছে, এজন্য হাঁটা শুরু করেছে। তারাতো আগে মিছিল করতো, এখন মিছিলের পরিবর্তে হাঁটা শুরু করেছে। বিএনপি যে পদযাত্রা শুরু করেছে সম্ভবত তারা কারো কাছ থেকে নকল করছে। আপনারা একটু চোখ হাঁটিয়ে দেখুন কারো কাছ থেকে নকল করছে কিনা? বিএনপি পদযাত্রা করুক আর যেই যাত্রায় করুক না কেন তাদের এই যাত্রায় জনগণতো দুরের কথা তাদের সাধারন যে কর্মীরা তারাও পদযাত্রায় সামিল হয়নি।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউতে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই দেশে বিএনপি দাবী তুলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এই দেশে আর কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবেনা। ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউকে, কন্টিনেন্টাল ইউরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ সমস্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই নির্বাচন হবে।

সংসদীয় গণতন্ত্রের সব দেশেই যেই সরকার ক্ষমতায় থাকে তারাই নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও তাই করবে। তিনি বলেন, নির্বাচন বর্জন করেন তাহলে মানুষের কাছ থেকে দুরে সরে যায়, বিএনপি বিষয়টি সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারছে কিনা আমি জানিনা।

যদি তারা নির্বাচন বর্জন করে তারা মানুষ থেকে যে দুরে সরে গেছে, আরো যোজন যোজন দুরে সরে যাবে। তবে আমি আশা করি তারা নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে। আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহন করুক। প্রতিদ্বন্ধীতাপূর্ণ একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ আগামী দিনের সরকার পছন্দ করুক সেটিই আমরা চাই।

চট্টগ্রাম একটি নান্দনিক শহর উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য কি পরিমাণ গুরুত্ব দেই, সেটি একটি প্রজেক্টের কথা আলোচনা করলেই বুঝতে পারবেন। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য তিনটা প্রজেক্ট মিলিয়ে ১.২ মিলিয়ন ডলার একটা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য দিয়েছেন। সেই কাজগুলো চলছে, তিনটা প্রজেক্টের কাজের সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেই প্রজেক্টগুলো যদি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয় আমি আশাকরি আগামী বছর থেকে চট্টগ্রাম শহরে পানি উঠবেনা।