১৫ই মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১১:৩৯
শিরোনাম:

বিএনপি নীরব থাকলেও সরকার ভয় পায়: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমরা চিৎকার করলেও আওয়ামী লীগ ভয় পায়। আবার নীরব থাকলেও আওয়ামী লীগ ভয় পায়।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও ১০ দফা দাবি আদায়ে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে পদযাত্রা কর্মসূচিপূর্ব সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন বিএনপির এই কর্মসূচি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শুরু হয়। এর আগে দুপুর ১টা থেকেই নেতাকর্মীরা কমলাপুর এলাকায় এসে জড়ো হতে থাকেন। কমলাপুর স্টেডিয়ামের সামনে থেকে শুরু হয়ে খিলগাঁও মোড় হয়ে মালিবাগ বাজারের সামনে যেয়ে এই পদযাত্রা শেষ হয়।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা বলিনি আমাদের মন্ত্রীত্ব দেন, বিএনপির গদি ছেড়ে দেন। আমরা জনগণের দাবি নিয়ে কথা বলছি। আজকে আমাদের এই পদযাত্রা জনগণের দাবি নিয়ে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে আমরা যদি চিৎকার করি আওয়ামী লীগ ভয় পায়। নীরব থাকলেও আওয়ামী লীগ ভয় পায়। বিএনপির পদযাত্রায় আজকে যে রাস্তা প্রকম্পিত হচ্ছে, সেই কারণে তারা ভয় পেয়ে গেছে।

তিনি বলেন, হঠাৎ করে বিদ্যুতের দাম বাড়িয় দেওয়া হলো। বিদ্যুৎমন্ত্রী বললেন মাসে-মাসে সমন্বয় করা হবে। ভাবটা এরকম যেন এটা কারো একটা রাজত্ব। রাজার হুকুম মতো দেশ চলবে। এটা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের হুকুম মতো দেশ চলবে, কারও রাজতন্ত্রে নয়। তবে এখনতো কোনো সরকার নেই। একটা অবৈধ দানব আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে। এই দানবকে ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।

তিনি বলেন, পুলিশ আজ মাইকে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে মাইকে ডাকতেছে, কেন্দ্রে ভোটার নয়, কুকুর দেখা যাচ্ছে। কারণ, জনগণ এই প্রহসনের নির্বাচন বয়কট করেছে।

আব্বাস বলেন, এই পদযাত্রা আওয়ামী লীগের পতন যাত্রা। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষায়। আজকে আমি মুগদা থেকে হেঁটে আসলাম। রাস্তায় মানুষের উপস্থিতির কারণে সুঁই ফেলারও জায়গা নেই।

বিএনপির এই নেতা বলেন, এ দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয় মানুষ। কিন্তু তারা প্রয়োজনে এমন শক্ত হয় তখন তাদের মতো আর কেউ নেই। এই সরকারকে এখন মানুষ বিশ্বাস করে না। হাসিনা সরকার আগে বলেছে ঘরে ঘরে চাকরি। এখন ব্যবসা করার উপদেশ দিচ্ছে।

পদযাত্রা কর্মসূচির সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। পদযাত্রা কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, মীর সরাফত আলী সপু, আব্দুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, ডা. রফিকুল ইসলাম, নবী উল্লাহ নবী, কাজী আবুল বাশার, লিটন মাহমুদ, রবিন, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, সাইফুল আলম নিরব, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।

এর আগে গত শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বাড্ডা থেকে রামপুরা হয়ে মালিবাগ হোটেল পর্যন্ত পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।

এরপর সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়ে শ্যামপুর পর্যন্ত পালন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

গতকাল মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) গাবতলী থেকে শুরু হয়ে মাজার রোড হয়ে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্ত্বর পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।