১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১০:০৬
শিরোনাম:

ড্রেসিংরুমে ধূমপান করায় শাস্তি পেলেন সুজন

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ চলাকালীন ড্রেসিংরুমে ধূমপান করায় শাস্তি পেলেন খুলনা টাইগার্সের কোচ খালেদ মাহমুদ। ক্রিকেটের চেতনাবিরোধী কাজের জন্য ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে তাকে। পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট।

খুলনার কোচ সুজন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একজন পরিচালক ও বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টরও। তার বিরুদ্ধে বিসিবির আচরণবিধির লেভেল-১-এর ২.২০ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। যেখানে বলা হয়েছে খেলার চেতনার পরিপন্থী কাজে জড়ানো।

ম্যাচ আম্পায়ারদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শাস্তির সিদ্ধান্ত দেন ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল। তবে মাহমুদ অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

সুজনের পাশাপাশি আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য জরিমানা করা হয়েছে রংপুর রাইডার্সের শেখ মেহেদি হাসান, নিকোলাস পুরান ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মোসাদ্দেক হোসেনকে।

গত শুক্রবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে বিপিএলের লিগ পর্বের শেষ দিনে ৬ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় পায় খুলনা। সেই ম্যাচের শেষ ওভারে উত্তেজনাময় মুহূর্তে টিভি পর্দায় স্পষ্ট দেখা যায়, ড্রেসিং রুমের ভিউয়িং এরিনায় দাঁড়িয়ে ধুমপান করছেন সুজন। সামাজিক মাধ্যমে খুলনা কোচের সিগারেটে টান দেওয়ার এক ঝলকের ওই দৃশ্য দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে বিসিবির আচরণবিধির ২.২ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় মেহেদির বিরুদ্ধে। যেখানে বলা হয়েছে, ক্রিকেট উপকরণের প্রতি অসম্মান কিংবা অপব্যবহার। এই ঘটনায় ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা গুনতে হবে রংপুর রাইডার্সের অলরাউন্ডারকে। পাশাপাশি তার নামের সঙ্গে যোগ হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।

মেহেদির সতীর্থ নিকোলাস পুরানকে জরিমানা করা হয়েছে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ অর্থ। তার নামের পাশে যোগ হয়েছে দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট। পুরানের ক্ষেত্রে বিসিবির আচরণবিধির ২.২২ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। যেখানে বলা হয়েছে জার্সি নীতিমালা ভঙ্গের কথা।

আম্পায়ারদের অভিযোগের পর শাস্তির সিদ্ধান্ত জানান ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ। মেহেদি ও পুরান দায় স্বীকার করে নেওয়ায় কোনো শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মোসাদ্দেক সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে জার্সির লোগোর নীতিমালা ভঙ্গ করে শাস্তি পেয়েছেন। তিনি ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা ও ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে মোসাদ্দেককে। ম্যাচ রেফারির নিয়ামুর রশিদের দেওয়া শাস্তি মেনে নিয়েছেন কুমিল্লার অলরাউন্ডার। তাই শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।