২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:২২
শিরোনাম:

ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: অভিযুক্ত ৫ ছাত্রীর আবাসিকতা বাতিল

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নবীন ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীর আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই বাচাই করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হল কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার হল প্রভোস্টের কার্যালয়ে আলোচনা শেষে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অধ্যাপক ড. শামসুল আলমের সভাপতিত্বে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল প্রভোস্ট কার্যালয়ে আজ তদন্ত কমিটির দাখিল করা প্রতিবেদন পর্যালোচনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মো. আহসানুল হক, ড. মো. নূরুল ইসলাম, ইসরাত জাহান, আসমা সাদিয়া রুনা, মৌমিতা আক্তার। প্রতিবেদন পর্যালোচনা সভায় প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকদের সর্বসম্মতিক্রমে অভিযুক্তদের আবাসিকতা ও হল সংযুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

বহিষ্কৃত পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম, ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী ও ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান। বহিস্কৃতদের আগামী ১ মার্চ দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল প্রভোস্ট ড.শামসুল আলম বলেন, ‘ভুক্তভোগীর অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তাই আমরা তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে আবাসিকতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে এক ছাত্রীকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা সেদিন তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন, ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটি তদন্ত করছে।