২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১২:০৭
শিরোনাম:

কাদিয়ানিদের ওপর হামলাকারীরা ইসলামের শত্রু : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা ধর্মের নামে নারায়ে তাকবির বলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়, তারা ইসলামের শত্রু। তারা ইয়াজিদের উত্তরসূরী।

রোববার (১২ মার্চ) বিকেলে পঞ্চগড়ের শেরে বাংলা পার্ক মুক্তমঞ্চে আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কখনো ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে বলেননি। অন্যের ঘরবাড়ি পোড়ানোর কথাও বলেননি। তাই যারা ধর্মের নামে কাদিয়ানিদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা ইসলামের শত্রু, রাজাকারের উত্তরসূরী। বিশেষ করে এ ঘটনার পেছনে কাজ করেছে বিএনপি-জামায়াত। কারণ সেদিন স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা ভেতরে ভেতরে উসকানি দিয়েছে। পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোটরসাইকেল নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে। এ ঘটনার আগে শিবির পরিচালিত বাঁশের কেল্লা এবং কাদিয়ানি ঠেকাও নামে ফেসবুক পেজ থেকে উসকানি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ এবং রুমিন ফারহানার আইডি থেকেও উসকানি দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, এরা আহমদিয়াদের পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতেও হামলা করেছে। ডিসি অফিস, এসপি অফিস এবং থানায় হামলার চেষ্টা করেছে। র‍্যাবের গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, ট্রাফিক অফিসে আগুন দিয়েছে এবং শহরের দোকানপাট ভাঙচুর করেছে। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যেভাবে সরকারি স্থাপনায় আক্রমণ করা হয়েছিল, ঠিক একই কায়দায় আহমদিয়াদের জলসাকে কেন্দ্র করে হামলা করা হয়েছে। মূলত কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঢাকা ও লন্ডন থেকে মনিটর করে ঘটানো হয়েছে। তাই তাদের প্রতিহত করতে নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের এই শান্তি সমাবেশ চলবে।

এর আগে বিকেলে তথ্যমন্ত্রী পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ফুলতলা শালশিরি এলাকায় কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের পুড়ে যাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন শেষে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এ সময় রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন, আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা, কাদিয়ানীদের সালানা জলসা আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক আহমেদ তবশির চৌধুরী, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাইমুজ্জামান মুক্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।