১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:২১
শিরোনাম:

কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জি এম কাদের

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে স্বাভাবিকভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। কিন্তু বর্তমান সরকার সব ক্ষেত্রে দলীয়করণ করে কর্তৃত্ববাদী সরকার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তাই কোনো কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

আজ সোমবার বেলা ১১ টায় রাজধানীর কাকরাইলে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক সঙ্কট শুরু হয়ে গেছে। দুটি দল নিজের অবস্থানে অটল আছে। এমন অবস্থা থেকে তাদের বেরিয়ে আসার কোনো উপায় নেই। দল দুটি মনে করছে তারা ছাড় দিলে ধ্বংস হয়ে যাবে। তারা ভাবছে ছাড় দিলে নির্বাচনে তারা টিকবে না ও তাদের রাজনীতি টিকবে না। তাই দুটি দল জীবন দিয়ে লড়াই করবে। সহিংসতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার দিকে দেশ ধাবিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশ চালানো হচ্ছে গোঁজামিল দিয়ে। অগ্রগতির কথা বলে দেশকে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অর্থের অভাবে দেশের স্বাভাবিক আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। প্রবাসীদের আয় এবং রপ্তানি থেকে যে আয় হয় তার চেয়ে দেশের ব্যয় অনেক বেশি। দেশের রিজার্ভ আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। এ কারণেই আমরা আমদানি করতে পারছি না।’

জি এম কাদের বলেন, ‘উন্নয়নের নামে আমরা যা দেখছি বিশাল অবকাঠামো হচ্ছে, মেগা প্রজেক্ট হচ্ছে। এর সুফল আমরা এখনো দেখিনি। গত বাজেটের সময় ঋনের ভার জনপ্রতি ছিল প্রায় ১ লাখ টাকা। এখন ঋনের বোঝা আরও বাড়বে। সরকারের হাতে টাকা নেই। এমন বাস্তবতায় সরকার নতুন করে ১ লাখ কোটি টাকা ছাপাচ্ছে। এ জন্য দ্রব্যমূল্য উর্ধগতি ও মুদ্রাস্ফিতি হচ্ছে। ডলার সঙ্কট চলছে। সরকার রিজার্ভের যে হিসাব দিচ্ছে তা আইএমএফের হিসেব অনুযায়ী অনেক কম।’

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক সঙ্কট থেকে উত্তরোনের জন্য আমাদের সুপারিশমালা আছে। আমরা তা সময় মত জানাব। আমাদের শুপারিশমালা যদি গ্রহণ করার মত পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তবেই আমরা সুপারিশমালা দেব। ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যহত আছে। অনেক শক্তিশালী এবং গ্রহণযোগ্য মানুষ প্রতিদিন জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, এসএম আব্দুল মান্নান, সুনীল শুভ রায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, উত্তরের আহ্বায়ক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু , এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আকতার, মোস্তফা আল মাহমুদ, আতিকুর রহমান আতিক, জহিরুল ইসলাম জহির, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল আলম রুবেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি শেরিফা কাদের, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে- জাতীয় যুব সংহতি, জাতীয় মহিলা পার্টি, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি, জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি, জাতীয় শ্রমিক পার্টি, জাতীয় তরুণ পার্টি।