২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:১৭
শিরোনাম:

৫২ বছর পরও গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিতে হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

মহান বিজয় দিবসে আক্ষেপের সুর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কণ্ঠে।জাতীয় স্মৃতিসেৌধে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আজকে আমাদের দুর্ভাগ্য। যে লক্ষ্য নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম, তা বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও আমাদের গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিতে হচ্ছে, আমাদের লড়াই সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আমাদের ভোটের অধিকার হারিয়ে গেছে। আমাদের কথা বলার অধিকার হারিয়ে গেছে।’

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আজ রোববার সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের আশা, আকাঙ্ক্ষা ও স্বাধীনতার চেতনা ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার। একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার। কিন্তু আজ স্বৈরাচারী–কর্তৃত্ববাদী এই আওয়ামী লীগ সরকার একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিরোধী দলকে নির্মূল করছে। বিরোধী দলীয় নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি রেখেছে।’

মিথ্যা মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাসিত করা হয়েছে। ৩৫ লাখের বেশি নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সত্য কথা লেখার অধিকার হারিয়ে গেছে। এখানে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

গণতন্ত্রকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাল, ডাল ও তেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য ও দেশকে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য যে সংগ্রাম শুরু করেছি, তা চালিয়ে যাব।’

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খানসহ কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।