২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:৫৬
শিরোনাম:

এমপির সামনে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মারামারি!

মহান স্বাধীনতা দিবসে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে বরিশালের উজিরপুরে সংসদ সদস্য মো. শাহে আলমের উপস্থিতিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইদ্রিস সরদারকে মারধর করেছে আরেকটি গ্রুপ। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আজ রোববার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে উপজেলা পরিষদের সামনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবালের সমর্থকরা এ হামলা চালায়।

এ ব্যাপারে আহত ইদ্রিস সরদার বলেন, ‘‘সকালে বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে কুচকাওয়াজ পরিদর্শনের জন্য স্কুল মাঠে যাই। সংসদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহে আলম ভাইকে উপজেলা সভাকক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সালাম বিনিময় করি। তখন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান আমাকে ‘আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর দালাল’ বলে কটূক্তি করেন। আমি এর উত্তরে ইকবাল চেয়ারম্যানকে বলি ‘সকল কিছু আপনারাই শিক্ষা দিয়েছেন।’’’

‘এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে গালাগাল শুরু করেন চেয়ারম্যান হাফিজুর। তখন তার বাহিনী বামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ তালুকদার, শিকারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম রিয়াজ কাজী ও বামরাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য রুবেলসহ ১০-১২ জন আমার ওপর হামলা চালায়। তখন এমপিসহ কেউ আমাকে রক্ষা করতে আসেনি। পরে কয়েকজন মিলে আমাকে উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করে।’

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম জামাল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে জানাব। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই আমরা মেনে নেব। নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে ভুল বোঝাবুঝি ও দ্বন্দ্ব কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আ. মজিদ সিকদার বাচ্চু জানান, ‘বিষয়টি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। এ ঘটনার কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যেতে না পারায় অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করছি। জাতীয় অনুষ্ঠানকে বানচাল করার জন্য যারা এ হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নেতাদের অনুরোধ করব।’

এ ব্যাপারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল বলেন, ‘ইদ্রিসের সঙ্গে আমার হাস্যরসপূর্ণ কৌতুক হয়েছে। পরে মারামারির বিষয়টি আমি দেখিনি।’

বিষয়টি নিয়ে জানতে বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শাহে আলমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

উজিরপুর মডেল থনার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, তবে এ পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।’