২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:২৪
শিরোনাম:

আশাশুনিতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ২৬শে মার্চ ২০২৩ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

বি এম আলাউদ্দীন আশাশুনি থেকে: আশাশুনিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। রবিবার প্রত্যুষে থানা চত্বরে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়। এরপর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সকাল ৯টায় আশাশুনি কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এসময় আশাশুনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম এর নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়ানুর রহমানের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন, সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ এর নেতৃত্বে আশাশুনি সরকারী কলেজ, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমিনুল ইসলাম (পিপিএম) এর নেতৃত্বে আশাশুনি থানা পুলিশ, আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ সহযোগি সংগঠন, আশাশুনি মহিলা কলেজ, আশাশুনি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আশাশুনি বালিকা বিদ্যালয়, জাতীয় পার্টি, সদর ইউনিয়ন পরিষদ, আশাশুনি প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, পূজা উদযাপন পরিষদ, ফ্রেন্ডস স্পোর্টিং ক্লাব, আশাশুনি বাজার বণিক সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
মাল্যদান শেষে উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় আশাশুনি সরকরি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে কুচকাওয়াজ ও মাঠ পার্স অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা এবং সাড়ে ১১টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও যোহর নামাজ বাদ মসজিদে ও সুবিধামত সময়ে অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং দুপুরে হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এরপর বিকাল ৪টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে মহিলাদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। বিকাল ৫টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক প্রামাণ্য-চিত্র প্রদর্শনী ও সন্ধ্যায় সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়।