২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:৪২
শিরোনাম:

বর্ষবরণে প্রস্তুত রাবির চারুকলা, থাকবে মঙ্গল শোভাযাত্রা 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: দিন পেরোলেই শুরু হবে বাংলা নববর্ষ। অন্যান্য বছরের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নববর্ষ উদযাপনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চারুকলা অনুষদ।
রাজশাহীতে চলছে মৃদু তাপদাহ। সেই সাথে পবিত্র রমজান মাস হওয়ায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঈদের ছুটি শুরুর কিছুটা আগেই ক্যাম্পাস ছাড়ছেন। তবে, প্রচন্ড গরমেও ব্যস্ত সময় পার করছে রাবির চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
“বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি” শীর্ষক কেন্দ্রীয় স্লোগানকে সামনে রেখে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে যাচ্ছে চারুকলা অনুষদ। পহেলা বৈশাখে আয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  চারুকলা অনুষদের ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো নিয়ে দেশব্যাপী চলছিল নানা আলোচনা-সমালোচনা। এদিকে, মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে ‘হুমকিমূলক চিরকুট’ পাওয়ার দাবিতে শাহবাগ থানায় জিডি করেছেন ঢাবি চারুকলার আয়োজক কমিটির সদস্য আবতাহী রহমান।
তবে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পূর্বের বছরগুলোর মতো নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী।
অধ্যাপক আলী বলেন, “আমাদের আয়োজনের কোনো কমতি থাকবে না। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে, সেক্ষেত্রে জনসমাগম কিছুটা কম হতে পারে। আমাদের শিক্ষার্থীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে—যেন জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা যায়।”
এবারের বর্ষবরণের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল আর্কষণে রয়েছে: পঙ্খিারাজ ঘোড়া, হাত পাখা, নারী ও পুরুষের মুখোশ, কচ্ছপ ও ছোট-বড় টেপা পুতুলের ডামি।
প্রচন্ড গরমের কারণে অনেকটা বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থীরা এবারের বর্ষবরণের ডামিগুলো ভবনের তৃতীয় তলার একটি শ্রেণীকক্ষে তৈরি করছেন।
চারুকলার এই আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পর্কে অনুষদের মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বলেন, “উৎসবটিকে আরও বর্ণিল করার জন্য আমরা ডামিগুলো প্রস্তুত করছি। ডামিগুলোর মধ্যে হাত পাখার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের বিষয়টির প্রতি জোর দিচ্ছি, আর আমাদের অর্থনীতির গতিশীলতার প্রতীক হিসেবে আমরা পঙ্খিরাজ ঘোড়ার ডামি তৈরি করেছি। আরও রয়েছে কচ্ছপের ডামি।”
বাঙালি জাতি তার কৃষ্টি ধারণ করে নিষ্ঠার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে —তা ডামির মধ্য দিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।এছাড়া, বাঙালি লোক-সংস্কৃতির ধারক-বাহক হিসেবে নারী ও পুরুষের মুখোশ এবং বিভিন্ন টেপা পুতুলের ডামিও প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান চারুকলা অনুষদের এই শিক্ষক।
উল্লেখ্য, নববর্ষ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১৪ এপ্রিল, ২০২৩) ‘বৈশাখী উৎসব- ১৪৩০’ শিরোনামে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে রাবি’র চারুকলা অনুষদ। সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ চত্বরে এই উৎসবের উদ্বোধন করবেন রাবি উপাচার্য ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। অনুষদ চত্বর থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে সকাল সাড়ে দশটায়।