১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:০৬
শিরোনাম:

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে জটিলতা, মন্ত্রী বললেন সমন্বয় দরকার

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে সকল অংশীজনের সমন্বয় দরকর বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

সোমবার (৮ মে) ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের সভা কক্ষে ঢাকা মহানগরীতে চলমান সড়ক, রেল ও নৌ পরিবহন অবকাঠামো সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্প সমূহের মধ্যে সমন্বয়ের নিমিত্তে গঠিত কমিটির প্রথম সভায় সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্প রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্ট ও রেম্পের অবস্থান নির্ধারণে উদ্ভূত জটিলতা নিরসনে সকল অংশীদারদের মতামত এবং তা সমন্বয় জরুরী।

প্রকল্পে সূত্রে জানা গেছে, এক্সপ্রেসওয়েতে থাকবে ১১টি টোল প্লাজা; এর মধ্যে পাঁচটি হবে এক্সপ্রেসওয়ের উপরে। প্রকল্পটি নির্মাণের সুবিধার্থে তিনটি ভাগ করা হয়েছে। একটি, এয়ারপোর্ট-বনানী-রেলস্টেশন; অপরটি বনানী রেলস্টেশন-মগবাজার ও তৃতীয়টি মগবাজার-চিটাগাং রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত। এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকার উত্তর-দক্ষিণের মধ্য দ্রুতগতির বিকল্প সড়ক হিসেবে কাজ করবে। তা ছাড়া এটি সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবে হেমায়েতপুর- কদমতলী-নিমতলী- সিরাজদিখান-মদনগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে মদনপুরের সঙ্গে। সেখানে আন্তঃজেলা নতুন বাস টার্মিনাল হওয়ার কথা রয়েছে।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লাসহ পূর্বাঞ্চলের পরিবহনগুলো পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ঢাকায় প্রবেশ না করেই সরাসরি চলাচল করতে পারবে। আবার উত্তরাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলোও ঢাকাকে পাশ কাটিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যেতে পদ্মা সেতুগামী বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে সরাসরি উঠে যাবে। আরেক রুট দিয়ে চলে যাবে চট্টগ্রাম ও সিলেটগামী রোডে।

নির্মাণ কাজে জটিলতার কথা স্বীকার করে সকল অংশীদারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সহযোগিতামূলক মতামতের ভিত্তিতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের অসামঞ্জস্যগুলো সংশোধনের মাধ্যমে প্রকল্পটি জনবান্ধব ও রাজধানীর যানজট নিরসনে কাঙ্খিত ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশন করেন মন্ত্রী।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, রেলপথ মন্ত্রণালয় সচিব ডঃ মো. হুমায়ুন কবির, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী, সেতু বিভাগের সচিব মোঃ মনজুর হোসেন, পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডঃ মোঃ মুশফিকুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান মিঞা।

উল্লেখ্য, যানজট নিরসনে সরকার নেওয়া সবচেয়ে বড় প্রকল্প ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সর্বমোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। কিন্তু পরবর্তীতে ভূমি অধিগ্রহণ, নকশা বদল, অর্থ সংস্থানের জটিলতায় প্রকল্পের সময় বৃদ্ধি পায় চারবার। এতে ব্যয়ও বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ঢাকা নগরীতে না ঢুকেই বিভিন্ন অঞ্চলের ৮০ হাজার যানবাহন চলাচল করবে প্রতিদিন।