১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:৪৬
শিরোনাম:

অর্ধশতাধিক ইউপিসহ সাত পৌরসভায় ভোট জুনে: ইসি

স্থানীয় সরকারের পঞ্চাশের অধিক ইউনিয়ন পরিষদসহ (ইউপি) সাত পৌরসভায় আগামী মাসের জুনের মাঝামাঝি ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঈদুল আযহা এবং এইচএসসি পরীক্ষার কথা বিবেচনায় রেখে মধ্য জুলাইয়ে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় সাংবিধানিক এ সংস্থা। আগামী সপ্তাহে এসব ভোটের তফসিল ঘোষণা করবে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।

রোববার (১৪ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এসব কথা বলেন।

মধ্যজুনের মধ্যে কমিশন বেশকিছু নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে ইসি সচিব বলন, ‘আগামী সপ্তাহের মধ্যে তফসিল দেওয়া হবে। তবে একেকটির একেক সময় নির্বাচন হবে। এরমধ্যে পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন রয়েছে। পৌরসভা আছে সাতটা, ইউপি অনেকগুলো। যার কারণে তফসিল ঘোষণার আগে বলা যাবে না কতগুলো। তবে পঞ্চাশোর্ধ্ব হবে।’

সংসদীয় আসনের শুনানি আজ (রোববার) শেষ হলো উল্লেখ করে জাহাংগীর আলম বলেন, ‘কমিশন আবার বসে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবে। জুন মাসটা আমাদের হাতে আছে। জুনের মধ্যে এটা আমরা শেষ করবো।’

পার্বত্য চট্টগ্রামে আসন বৃদ্ধির দাবির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘এটা কমিশন সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের আসন সংখ্যা তিনশটি। এর বেশি আসন বানানোর সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। এটা যখন চূড়ান্ত হবে তখন বলা যাবে বাড়বে না কমবে।’

নির্বাচন কমিশনের আপ্যায়ন ভাতার বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একটা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা সংসদ নির্বাচনসহ কোথায় কী আছে তা দেখে প্রস্তাব দেবে। এরপর সিদ্ধান্ত হবে।’

গাজীপুর সিটি ভোটের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সকল সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে থাকে। আমরা তাকে সহায়তা দেবো। ইভিএম, জনবলের সহায়তা আমরা দেবো। বাকি কাজটা রিটার্নিং কর্মকর্তা করবেন। সকল সিটি ভোট আয়োজনের জন্য প্রস্তুত ইসি।’

জানা গেছে, বৈঠকে ২১টি ইউপি সাধারণ, ২০টি ইউপির বিভিন্ন পদে উপ-নির্বাচন, সাতটি পৌরসভায় সাধারণ, ১০টির মতো পৌরসভার বিভিন্ন পদে উপ-নির্বাচন এবং তিনটি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সাধারণ নির্বাচনের উপযোগী ইউপির মধ্যে রয়েছে— গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদ, সিলেটের বিশ্বনাথের অলংকারী, রামপাশা, দৌলতপুর, বিশ্বনাথ ও দেওকলস, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের কালাপানিয়া, কক্সবাজারের মহেশখালীর ধলঘাটা, জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের বড়াইল, যশোরের মনিরামপুরের হরিহরনগর, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের আন্দুলবাড়ীয়া, পটুয়াখালীর দুমকির লেবুখালী ও শ্রীরামপুর, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের আলিমাবাদ, ভোলার চরফ্যাশনের মুজিবনগর, ঝালকাঠি সদরের পোনাবালিয়া, পিরোজপুরের কাউখালীর শিয়ালকাঠী, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বাবুছড়া ও মানিকছড়ির যোগ্যাছোলা, টাঙ্গাইলের কালিহাতীর বীরবাসিন্দা ও পারখী ইউনিয়ন পরিষদ।

এদিকে ২০টির মতো ইউপির বিভিন্ন পদে উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া তিনটি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

নির্বাচন উপযোগী পৌরসভাগুলোর মধ্যে রয়েছে— পিরোজপুরের নবগঠিত ভান্ডারিয়া, চট্টগ্রামের দোহাজারী, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট, কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌরসভা, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, চাঁদপুরের ছেংগারচর ও যশোরের বেনাপোল পৌরসভা। এছাড়া ইসিকে প্রায় ১০টির মতো পৌরসভার বিভিন্ন পদে উপ-নির্বাচন করতে হবে।