২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:২৭
শিরোনাম:

‘গাজীপুর সিটি নির্বাচনে যে ফলই আসুক সবাই মেনে নেবে’

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, আমাদের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আমাদের নির্বাচন কমিশন থেকে রিটার্নিং কমকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা যারা দায়িত্বে ছিলেন- নির্বাচন কমিশন থেকে পাঠানো একটি টিম, আপনাদের মিডিয়া সবাই বলেছেন গাজীপুরের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা বিশেষ করে যারা মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন; সবাই বলেছেন নির্বাচনি ব্যবস্থার কারণে তারা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে এবং বলেছেন নির্বাচনে যে ফলাফলই আসুক না কেন সবাই মেনে নেবেন।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়েছে, এর কারণ কি ইভিএমে ধীরগতি? এমন প্রশ্নের উত্তরে কমিশনার বলেন, আপনার জানেন যে নির্বাচনি আইনে আছে শেষ সময়ে বেষ্টনীর মধ্যে যদি কোনো ভোটার উপস্থিত থাকেন তাহলে তাদের ভোট না নেওয়া পর্যন্ত নির্বাচন অব্যাহত থাকে। এটা ব্যালটের ক্ষেত্রে যে নিয়ম ইভিএমের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। ইভিএমের ক্ষেত্রে কারও কারও বুঝতে অসুবিধার কারণে দেরি হতে পারে; তবে এটিই একমাত্র কারণ নয়।

কত শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না, আমরা আশা করছি ৫০ শতাংশের নিচে হবে না। মোট হিসাব করলে আসল তথ্য পাওয়া যাবে।

কোনো অনিয়ম ধরা পড়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ভোটাদের লাইন ধরা এবং প্রিসাইডিং অফিসার যে আগে আসবে আগে নেবে বা পরে আসলে পরে নেবে- যেসব বিষয় ধরা পড়েছে; আমরা ফোন দিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি- আপনারা ওমুকে আগে নিচ্ছেন কেন ওমুকে পরে নিচ্ছেন কেন। অথবা দুটি কেন্দ্রে আমরা দেখেছি এজেন্টরা ভোটারদের মারধরের চেষ্টা করছেন। আমরা তখন পুলিশকে ফোন দিয়ে তাদের বের করে দিয়েছি। তাদের দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

সবগুলো কেন্দ্রে এতগুলো সিসি ক্যামেরা; সব পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, চার হাজার সিসি ক্যামেরা একসঙ্গে দেখা সম্ভব না; কিন্তু এই যে আমাদের উদ্যোগটা; এই যে আমরা সিসি ক্যামেরায় দেখেছি; এজন্য মানুষ অন্যায় কাজ করতে ভয় পেয়েছে; সেটাই তো আমদের সাক্সেস। আমরা যে এ জায়গা থেকে দেখেছি; যেখানে যেখানে সমস্যা দেখেছি আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এটাই তো আমাদের সাক্সেস।

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে- যেখানে আপনারা নির্বাচন পরিচালনা করেন আসলে কোনো চাপ অনুভব করছেন কিনা।

বিষয়টি আমাদের সঙ্গে সর্ম্পকিত না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন যে নিয়ম তখনো থাকবে আমরা আমাদের নিয়মে দায়িত্ব পালন করব।

জাতীয় নির্বাচনের আগে ট্রায়াল নির্বাচন নিয়ে আপনারা সন্তুষ্ট কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট, আপনারা সন্তুষ্ট, আপনাদের প্রতিনিধিরা সন্তুষ্ট, জনগণ সন্তুষ্ট, ভোটাররাও সন্তুষ্ট।