স্টাফ রিপোর্টার গজারিয়া : সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি, ভাইভায় ধরা চাকরিপ্রার্থী মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ভাটের চর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী সুপার নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা দিতে এসে ‘প্রক্সি’ জালিয়াতিতে ধরা পড়েছেন রসুলপুর বাতিনিয়া আলিম মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল শামসুল আলম । অত্র মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র ও খন্ডকালীন শিক্ষক রিদওয়ান হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ছিলেন শামসুল আলম।
শুক্রবার ৭ই জুন ২০২৪ ভাটের চর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে এলে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে জানাজানি হলে ওই চাকরিপ্রার্থীর জালিয়াতি ধরা হয়। পরে তাঁকে আটক ও পুলিশে সোপর্দ না করে ছেড়ে দেয় নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা। জালিয়াতি সদস্য শামসুল আলম বরিশাল জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় তার বাড়ি বলে জানা গেছে। বর্তমানে টেংগারচর ইউনিয়নের মধ্য ভাটেরচর গ্রামে বাড়ি করে বসবাস করেন। বিষয়টি দৈনিক আমাদের নতুন সময় কে নিশ্চিত করেন গজারিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য জাকির হোসেন ।
তিনি জানান, গত ৭ই জুন শুক্রবার সরকারি মাদ্রাসা ই আলিয়ার প্রিন্সিপাল ডিজির প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোসলেম উদ্দিন, সভাপতি আব্দুল মতিন এর উপস্থিতিতে ভাটেরচর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় অংশ নিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন রসুলপুর বাতেনিয়া আলিম মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল শামসুল আলম । পরে মাদ্রাসা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার তাহার পরিচিতি পেলে তৎক্ষণাৎ রেজাল্ট সিটে স্বাক্ষর হতে আমি বিরত থাকি। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তার হয়ে আরেকজনের পরীক্ষা দেওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন।
এই প্রক্রিয়াটি ভারপ্রাপ্ত সুপার মোসলেম উদ্দিন ও কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন সম্পূর্ণ করেছে বলে গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে পারে। এই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোসলেম উদ্দিন 2022 সালে বিশজন ভুয়া ছাত্র দেখিয়ে মাদ্রাসার ভোটার তালিকায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করার পাঁয়তারা করছে।এই বিষয়ে কয়েকটি জাতীয় পএিকায় দুর্নীতির খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। তার পাশাপাশি ভুয়া এতিম ছাএ দেখিয়ে প্রতি বছর সমাজ সেবা অফিস থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত সুপার মোসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। প্রক্সিদারি শিক্ষক সামছুল আলম বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষায় কন্টাকে প্রক্সিতে অংশগ্রহণ করে থাকে । এমন প্রমাণ গনমাধ্যম কর্মীদের হাতে এসেছে।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সামসুল আলম ও ভারপ্রাপ্ত সুপার মোসলেম উদ্দিন নিয়োগ পরীক্ষার প্রক্সির বিষয়টি গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে স্বীকার করে পরীক্ষা বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছেন। রসুলপুর বাতেনিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোক্তার হোসেন বলেন ভাইস প্রিন্সিপাল সামসুল আলম যে কাজটি করেছে তা নিয়োম বহির্ভূত। একজন ইনডেক্স দারি শিক্ষক এ কাজ করতে পারেন না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনূর আক্তার বলেন নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি তে ধরা খাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে দাপ্তরিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান আমাদের নতুন সময়কে বলেন, মাদ্রাসায় সহকারি সুপার নিয়োগে প্রক্সি দিতে এসে ধরা খেল এরকম কেহ অভিযোগ করেনি