ভারতের ওড়িশা রাজ্যের বালাসোরে ২টি যাত্রীবাহী ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে এ ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। রাজ্যের কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণমাধ্যম এ খবর জানায়। শনিবার একজন শীর্ষ উর্ধ্বতন কমকর্তা বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনগুলোর বিধ্বস্ত বগিগুলোর মধ্যে এখনো বহু লোক আটকা পড়ে আছে। তাই হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে তিনি আশংকা ব্যক্ত করেন তিনি। সূত্র: টিএন্ডটি ওয়ার্ল্ড, সিএনএন
ওড়িশা রাজ্য দমকল বিভাগের পরিচালক সুধাংশু সারাঙ্গি দুর্ঘটনায় হতাহতের এ নতুন সংখ্যার বিষয় নিশ্চিত করেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী প্রদীপ জেনা এক টুইটে বলেন, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে ওই দুর্ঘটনাস্থল দু’শতাধিক অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। বালাসোর জেলায় অতিরিক্ত ১০০ ডাক্তার পাঠানো হয়েছে। আগে থেকে সেখানে ৮০ জন ডাক্তার ছিলেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জেনা বলেন, উদ্ধার কাজ শেষ হতে আরো সময় লাগবে। মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ৮৫০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৯০০ অতিক্রম করে গেছে।
কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেন বাঙ্গালোর থেকে পশ্চিম বাংলার হাওড়া যাওয়ার পথে করোমান্ডেল এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। এ ট্রেনটি কলকাতা থেকে চেন্নাই যাচ্ছিল। দুর্ঘটনা কবলিত এ দু’টি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে আরেকটি মালবাহিী ট্রেনেরও সংঘর্ষ হয়। বিধ্বস্ত ট্রেন দু’টির লাইনচ্যুত বাগির দুমড়েমুচড়ে যাওয়া ধাতবখন্ডের সঙ্গে রক্ত জড়িয়ে ছিল। শত শত হতাহত যাত্রীরা সেখানে পড়েছিল। দমকল কর্মী ও পুলিশ সন্ধানী কুকুর নিয়ে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যান। জাতীয় দুর্যোগে সাড়াদানকারী বাহিনীর দলও উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
ভারতীয় রেলওয়ের নির্বাহীর পরিচালক অমিতভ শর্মা এএফপি বলেন, দু’টি যাত্রীবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় মালাবাহী তৃতীয় ট্রেনটি এসে তাতে আঘাত হানে।
ওই দুর্ঘটনায় জীবিত একজন স্থানীয় টিভিকে বলেন, দুর্ঘটনার সময় তিনি ঘুমিয়েছিলেন। উঠে দেখেন তিনি অনেক যাত্রীর নীচে চাপা পড়ে আছেন। হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় কেবল আমার কাধ ও হাতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এ দুর্ঘটনায় তিনি গভীরভাবে মর্মাহত। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পাটনায়েক নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শনিবার এক দিনের শোক ঘোষণা করেছেন। সম্পাদনা: মাজহারুল ইসলাম