২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৩:৩৮
শিরোনাম:

দুই পাথর বিক্রি করে এক রাতেই কোটিপতি (ভিডিও)

১৫ কেজি পাথর বিক্রি করে প্রায় ২৯ কোটি টাকা পেলেন এক ক্ষুদ্র খনি ব্যবসায়ী। অনেকটা ‘এক রাতের ব্যবধানে কোটিপতি’ হওয়ার মতো ঘটনা। তবে এটি সাধারণ কোনো পাথর নয়। তানজানিয়াট নামের রত্নপাথর। আর কোটিপতি হওয়া ওই ব্যক্তি হলেন আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার এক ক্ষুদ্র খনি ব্যবসায়ী সানিনিউ লাইজার। ডেইলি বাংলাদেশ

লাইজার যে এলাকায় এই খনি খনন করে থাকেন, সেই এলাকায় পাওয়া যায় এই রত্নপাথর তানজানিয়াট। লাইজার এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি তানজানিয়াট পেয়েছেন। এর একটির ওজন নয় কেজি ২০০ গ্রাম আর অন্যটির ওজন পাঁচ কেজি ৮০০ গ্রাম। বুধবার দেশটির মানিয়ারা এলাকায় পাথর দুটি বিক্রি করেন তিনি। পাথর দুটি কিনেছে দেশটির রত্নপাথর-সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়।

এই পাথর পাওয়া ও তা বিক্রি করার ঘটনা রটে গেছে সারা দেশে। খোদ প্রেসিডেন্ট তাকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ২০১৫ সালে তানজানিয়ায় প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলি ক্ষমতায় এসে দেশটির ভবিষ্যৎ বদলে দেয়ার জন্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খনি ব্যবসায়ীকে অনুমোদন দেন। ফলে লাইজারের মতো অনেকেই এই ব্যবসা করে থাকেন।

বিবিসি’র একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তানজানিয়াট অন্যতম একটি দুর্লভ পাথর। অলংকার তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয় এই পাথর। স্বচ্ছতা ও রঙের ওপর নির্ভর করে এর দামের হেরফের হয়ে থাকে। তানজানিয়ায় এতো বড় তানজানিয়াট আগে কখনো পাওয়া যায়নি। এর আগে সবচেয়ে যে বড় পাথরটি পাওয়া গিয়েছিল, সেটির ওজন ছিল তিন কেজি ৩০০ গ্রাম। স্থানীয় ভূতাত্ত্বিকেরা জানিয়েছেন, আগামী ২০ বছর এই পাথর সরবরাহ করতে পারবে তানজানিয়া।

এদিকে এই পাথর পেয়ে লাইজার জানিয়েছেন, একটি বড় গরু জবাই করে খাওয়াবেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে। আর এই অর্থের একটি বড় অংশ সমাজের উন্নয়নে খরচ করার ঘোষণা দিয়েছেন ৩০-এর বেশি ছেলেমেয়ের এই বাবা। তিনি জানিয়েছেন, তিনি পড়াশোনা করতে পারেননি। তাই বাড়ির পাশে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করবেন, যাতে দরিদ্র পরিবারের শিশুরা পড়াশোনা করতে পারে।

হঠাৎ ধনী বনে যাওয়া লাইজার আরো বলেছেন, তার জীবনযাপনের কোনো বদল হবে না। তিনি এই খনি খননের ব্যবসা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চান। এছাড়া একটি বিপণিবিতান গড়ে তোলার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।