২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৫:১২
শিরোনাম:

৪ টাকায় অক্সিজেন, যন্ত্র আবিষ্কার করলেন দুই প্রকৌশলী

বগুড়ার দুজন প্রকৌশলী অক্সিজেনের কনসেনট্রেটর তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে। মাত্র ৪ টাকা বিদ্যুৎ খরচে ঘণ্টায় জমা হচ্ছে ৬০০ লিটার অক্সিজেন। আর একই যন্ত্র থেকে একসঙ্গে ৫ জন রোগীকে প্রয়োজন অনুযায়ী অক্সিজেন দেওয়াও সম্ভব। তবে যন্ত্রটি বাজারজাতের সরকারি নিশ্চয়তা এখনো দেওয়া হয়নি।

দেশে করোনা রোগীরা যখন অক্সিজেনের অভাবে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল ছুটছেন, তখন বগুড়ার দুজন প্রকৌশলী অক্সিজেনের কনসেনট্রেটর তৈরি করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। চারপাশের খোলা হাওয়াকে ব্যবহার করে প্রতি মিনিটে ১০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে এই যন্ত্রটিতে। শুধু উৎপাদনই নয়, একই সঙ্গে এখান থেকে চলবে অসুস্থ মানুষের অক্সিজেন সরবরাহ। উদ্ভাবকদের দাবি, বাতাসে অক্সিজেনের সঙ্গে মিশে থাকা অন্য সব গ্যাসকে সরিয়ে শুধু অক্সিজেন জমা করতে সক্ষম এই যন্ত্র।

উদ্ভাবক ও কাঁকক রেফ্রিজারেশন ওয়ার্কশপের স্বত্বাধিকারী প্রকৌশলী মাহমুদু ন্নবী জানান, এই মেশিন দিয়ে প্রতি ঘণ্টা ৬০০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন করা সম্ভব। মেশিনটিতে রয়েছে আধুনিক সেফটি ডিভাইস, যা যে কোনো দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। রোগীর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে উন্নত ডিভাইস ব্যবহার করে যন্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে। এটি তৈরিতে ৬৫-৭০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। আর ব্যবহারে বিদ্যুৎ খরচ ছাড়া অন্য কোনো ব্যয় নেই। অক্সিজেন ব্যবহারকারী এবং ডাক্তাররা বলছেন, এমন উদ্ভাবন সময়োপযোগী। দ্রুত এর বাজারজাত প্রত্যাশা করেন তারা।

উদ্যোক্তারা জানান, প্রতিদিন এমন একশটি করে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর তৈরি করা সম্ভব। জানা গেছে, এই অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মেশিন করোনা রোগীদের শ্বাসজনিত সমস্যা দূর করবে। একই সঙ্গে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে একাধিক রোগীর জন্য ব্যবহার করে জীবন বাঁচাতে সহায়তা করবে। প্রকৌশলী মাহমুদুন্নবী জানান, তার তৈরি এই মেশিনটি সম্পূর্ণভাবে দেশীয় উপাদান দিয়ে তৈরি। খরচ কম, সহজলভ্য এবং পোর্টেবল। প্রয়োজনে বাসাবাড়ি, অফিস, হাসপাতাল, ক্লিনিক যে কোনো স্থানে এই মেশিনটি ব্যবহার করা যাবে। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো বাতাস থেকে তার এই মেশিনটি ৯৫ থেকে ৯৮ ভাগ বিশুদ্ধ অক্সিজেন উৎপাদন করতে সক্ষম। তিনি জানান, ২৮ থেকে ৩০ কেজি ওজনের এই মেশিনটি ট্রলি সিস্টেমের মাধ্যমে সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত করা যায় এবং একসঙ্গে পাঁচজন করোনা আক্রান্ত রোগীকে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে।