২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১:৪১
শিরোনাম:

বিদ্যুৎচালিত গাড়ি আসছে দেশে, চূড়ান্ত হচ্ছে নীতিমালা

বাংলাদেশে বিদ্যুৎচালিত ব্যক্তিগত গাড়ি আমদানির জন্য নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, নীতিমালা চূড়ান্ত হলেই বিদ্যুৎচালিত মোটরযান আমদানি শুরু হবে। পাশাপাশি আমদানিকৃত গাড়ির জন্য চার্জিং নীতিমালা নিয়েও কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

তবে ইজিবাইকের বাইরে প্রাইভেটকারসহ অন্য যানবাহনগুলো কবে নাগাদ আমদানি সম্ভব হবে তার কোনো সময় এখন ঠিক হয়নি।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ইউছুব আলী মোল্লা জানান, তারা বুধবার বিদ্যুৎচালিত যানবাহন সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করতে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন এবং বৈঠকে একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে আরও একটি কমিটি করা হয়েছে খসড়া নীতিমালা আরও পর্যালোচনা করে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার জন্য।

তিনি বলেন, রিপোর্ট পাওয়ার পর আবার আলোচনা হবে, মন্ত্রণালয়ের মতামত নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট অনেকগুলো পক্ষ আলোচনা করতে হবে। এসব ধাপ পেরুনোর পর নীতিমালা চূড়ান্ত করে আমরা মন্ত্রণালয়ে দিতে পারবো। এতে কিছুটা সময় লাগবে।

বিআরটিএ’র রোড সেফটি উইংয়ের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী জানান, তারা বুয়েটের সাথে আলোচনা করে একটি খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন মন্ত্রণালয় এই নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে। ওটা চূড়ান্ত করে তারাই ওয়েবসাইটে দিয়ে দেবে। এরপর বিদ্যুৎ চালিত সব ধরণের যানবাহন চলাচলের সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করছি।

খসড়া নীতিমালায় বলা হয়, রিচার্জেবল ব্যাটারিতে সঞ্চিত বিদ্যুৎ শক্তির সাহায্যে চালিত মোটরযান, যেটি ব্যাটারি বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন বা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে রিচার্জ করা হয়, তাকেই ইলেকট্রিক মোটরযান বলা হবে। তবে বাইসাইকেল বা রিকশা এর অন্তর্ভুক্ত হবে না।

খসড়া নীতিমালায় ইলেকট্রিক মোটরযানের জীবনকাল মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে দশ বছর, তিন চাকার যানবাহন নয় বছর ও হালকা, মধ্যম ও ভারী যানবাহনের জন্য ২০ বছর ধরা হয়েছে।

অনুমোদিত চার্জিং স্টেশন, নিজস্ব ব্যবস্থাপনা, সোলার প্যানেল বা নবায়নযোগ্য যে কোনো জ্বালানি ব্যবহার করে রিচার্জ করা যাবে।

তবে ইলেকট্রিক মোটরযানের নিবন্ধন ও ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেন ও রুট পারমিট দেয়ার প্রক্রিয়া প্রচলিত পদ্ধতিতেই হবে।

চার্জিং স্টেশন তৈরির উদ্যোগ
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, দেশে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি আমদানির পর সেগুলোর চার্জিং স্টেশন কোথায় হবে বা কেমন হবে কিংবা ট্যারিফ কেমন হবে- এসব বিষয়ে সম্প্রতি একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে।

সভায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রত্যেকটি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিতে বৈদ্যুতিক যান চার্জিং বিষয়ক টিম রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রাখতে বৈদ্যুতিক গাড়ির উত্থান উত্তরোত্তর বাড়বে।

এ সভায় জানানো হয়, পেট্রোলচালিত যানবাহনের প্রতি এক হাজার কিলোমিটারের জন্য যেখানে ৫৩৭৫ টাকা খরচ হয় সেখানে একই দূরত্বের জন্য বৈদ্যুতিক যানবাহনের ক্ষেত্রে খরচ হবে ১২৫০ টাকা। এছাড়া পেট্রোলচালিত যানবাহনের চেয়ে বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের যান্ত্রিক দক্ষতাও বেশি এবং এটি পরিবেশবান্ধব।