২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১১:২২
শিরোনাম:

তুমব্রু সীমান্তে ফের উত্তেজনা, আতঙ্কে বাসিন্দারা

আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে মিয়ানমার-তুমব্রু সীমান্তে। গতকাল দেশটির যুদ্ধবিমান থেকে সীমান্তের পাহাড়ে দিকে গোলা ছুড়েছে। এতে ফের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বসবাসকারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকার বাজার পাড়ার লোকজন যুদ্ধবিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ দেখতে পায়। এছাড়া শনিবার সকালেও থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান তুমব্রুর বাসিন্দারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মংলাওয়াই মার্মা জানান, গতকাল রাতে তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান দেখা গেছে। এ সময় সেদেশের ভেতরে বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপের দৃশ্য দেখা গেছে। এর কিছুক্ষণ পর পরই বিকট শব্দে সীমান্ত এলাকা কেঁপে উঠে। এছাড়া শনিবার সকালে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে।

সীমান্তে বসবাসকারী স্থানীয় ও রোহিঙ্গারা জানায়, শুক্রবার রাতে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান দেখা গেছে। সে সময় তাদের যুদ্ধবিমান থেকে প্রায় ৩-৫টি গোলা ছোড়া হয়। এছাড়া শনিবার সকাল থেকে ২-৩ বার গুলির শব্দ পাওয়া গেছে।

তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার সকালে গোলাগুলি না হলেও রাতে মিয়ানমার সীমান্তে যুদ্ধবিমান থেকে গোলা ছুড়ছে। এছাড়া সকালে দুই-এক বার গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। এতে এখানকার মানুষজন ভয়ভীতির মধ্য রয়েছে। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।

মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় সব চেয়ে বেশি শব্দ পান হেডম্যান পাড়া, বাঁইশফাড়ি, ঢেকুবনিয়া, গর্জনিয়া, বাজার পাড়া এবং শূন্যরেখার রোহিঙ্গারা।

এদিকে গত পাচঁ বছর ধরে ওই সীমান্তের শূন্যরেখার কোনাপাড়ায় বসবাস করে আসছেন চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। সম্প্রতি সময় মর্টারশেল-গোলা ছোড়ার পাশাপাশি সীমান্তে হেলিকপ্টার থেকে গুলি বর্ষণের ঘটনায় নো ম্যানস-ল্যান্ডে থাকা রোহিঙ্গার পাশাপাশি স্থানীয়দের ওপর চলাচলে সর্তক করেছে সেখানকার দায়িত্বে থাকা বিজিবি।

গত এক মাসের বেশি সময় ধরেই বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু পয়েন্টে বাংলাদেশ-মিয়ানামার সীমান্তে উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যে দুই-একদিনের জন্য গোলাগুলি কিছুটা কমলেও আবার শুরু হয়েছে উত্তেজনা। এই অবস্থানের মধ্যে অসহায় হয়ে পড়েছে নো ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থানকারী রোহিঙ্গারা।