রাজধানীসহ দেশের কমপক্ষে পাঁচশ এলাকায় নিজে নেতৃত্ব দিয়ে চুরি করিয়েছেন তিনি। মামলা আছে কমপক্ষে ৯০টি। অথচ তিনি একজন জনপ্রতিনিধি। নাম আজিজুল হক।
বর্তামানে মাদারীপুর জেলার শিরখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার। সম্প্রতি একটি চুরির ঘটনায় তাকে হাতেনাতে আটকের পর জানা গেলো এসব তথ্য।
চুরি করা টাকায় কেনা প্রাইভেটকার নিয়ে গ্রাম থেকে প্রতি রাতে দলবল নিয়ে তিনি হানা দেন রাজধানীতে। হাতের কাছে যা পান সেটাই চুরি করে রাতে রাতেই ফিরে যান গ্রামে।
গড়েছেন পাঁচজনের একটি চোর চক্র। গেলো ২৬ সেপ্টেম্বর মিরপুরের বেনারসি পল্লি থেকে লেহেঙ্গা আর শাড়ি চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন পুলিশের হাতে।
তিনি মাদারীপুরের শিরখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আজিজুল হক। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন গ্রিল কেটে কমপক্ষে পাঁচশ’ চুরির কথা।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে ইউপি সদস্যের এমন সব অপকর্মের বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কাফরুল থানার সেনপাড়া পর্বতা ঈদগাহ মাঠ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কাফরুল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার আজিজুল অভিনব কায়দায় চুরি করতো। এই কাজে তিনি বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ একটি গাড়ি ব্যবহার করতেন। সাদা রঙয়ের ওই গাড়ি নিয়ে ঢাকা শহরে ঘুরে বেড়াতেন।
বাসা বা দোকানে রাতের বেলায় গিয়ে তালা বা গ্রিল কেটে স্বর্ণালংকার, টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যেতেন। গ্রিল ও তালা কাটায় খুবই দক্ষ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সভা সমাবেশে লাঠিসোঁটা নেয়া যাবে না: ডিএমপি
আজিজুল গ্রেপ্তার হওয়ার রাতেও কাফরুল থানার সেনপাড়া ও পল্লবীর বেনারসি পল্লীর শাড়ীর দোকানে চুরি করেছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
কোনো ইলেক্ট্রিক্যাল ডিভাইসে হাত না দিয়েই চুরি করতেন। এতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা কম থাকতো। আজিজুলের নামে চারটি মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজধানীতে চুরি ছিনতাইর ঘটনা বেড়েছে। তাই অপরাধ প্রতিরোধে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।