২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:৪৪
শিরোনাম:

জবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৩

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্তঃবিভাগ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সঙ্গে লোকপ্রশাসন বিভাগের খেলা চলাকালীন সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

পরে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীরাও সংঘর্ষে জড়ান। এ ঘটনায় বাংলা বিভাগের ১৩ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে দুই বিভাগের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেরানীগঞ্জের খেলার মাঠে প্রথম দফায় এবং খেলা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খেলা চলাকালীন বাংলা বি়ভাগের সাত নম্বর জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় সাকিব লোকপ্রশাসন বিভাগের মাসুদকে ট্যাকল করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের মাসুদ রানা সাকিবকে কিল ঘুষি মারেন। এ সময় বাংলা বিভাগ ও লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষণিকভাবে দুই বিভাগের শিক্ষক ও খেলা পরিচালনাকারীরা মীমাংসা করে দেন।

পরবর্তীতে খেলা শেষে বাংলা বিভাগের বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে পৌঁছালে লোকপ্রশাসন বিভাগের মাসুদ এবং তার বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা বাসে উঠে বাংলা বিভাগের নারী শিক্ষার্থীদের টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে ছেলেদের এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। অতর্কিত এই হামলায় বাংলা বিভাগের ১৩ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।

এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জয়ী বলেন, বাস মেইন গেটে আসার পরে একটা ভাই আমাদের ধাক্কা দিয়ে ভেতরে যেতে বলে বাসের দরজা বন্ধ করে দেন। তারপর সামি ভাইকে, জুনাইদকে তিনি মারতে শুরু করেন। এরপর বাস নেমেও তিনি মারধর করেন।

এ ঘটনায় বিভাগটির বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের মাধ্যমে ফুটবল টিমের ম্যানেজার ড. রাজিব মণ্ডল উপাচার্য বরাবর অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগপত্রে ঘটনা উল্লেখ করা হয়, লোকপ্রশাসন বিভাগের ১২তম ব্যাচের ছাত্র মাসুদ রানার নেতৃত্বে, ১২তম ব্যাচের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ছাত্র এম আই মারুফসহ আরও অনেকে বাংলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলা চালান। এতে বাংলা বিভাগের প্রায় ১৩ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

জানা যায় অভিযুক্ত মাসুদ রানা শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস.এম আকতার হোসাইনের একনিষ্ঠ অনুসারী। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লোকপ্রশাসন বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, এ ঘটনায় দুইটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হবে।